শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:– বাঁকুড়ায় বজ্রপাতে মৃত্যু হলো ৩ জনের। জখম হয়েছেন আরও ৭ জন। রবিবার দুপুরে ছাতনা থানা এলাকায় পৃথক তিনটি জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের, জখম হয়েছেন আরও ৪ জন। এছাড়া শালতোড়া থানা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। সেখানে জখম হয়েছেন ৩ জন। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতদের নাম সাগেন মুর্মু (২০) ও মীরা বাউরি (৬১) ও সুকুরমণি হাঁসদা (২৭)। জখম সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ছাতনার ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের ছাচনপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। তখন নদীর পাড়েই গাছের তলায় গিয়ে দাঁড়ান যুবকরা। সাগেন সহ আরও ৩ জন ছিলেন কাছাকাছি। সেখানেই আচমকা বজ্রপাতে লুটিয়ে পড়েন সাগেন। অন্য ৩ জনও জখম হন। ৪ জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ছাতনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে সাগেন মুর্মুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। জখম বাকি ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কলেজ পড়ুয়া সাগেনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ছাচনপুর গ্রামে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র মৃতের বাড়িতে ছুটে যান ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তনু কুন্ডু। তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অত্যন্ত ভালো ও মিশুকে ছেলে ছিল সাগেন। পরিবারের পাশে আমরা আছি’। জখমদেরও খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধান।
অন্যদিকে, ছাতনা ১-নম্বর পঞ্চায়েতের বারবাকড়া গ্রামে এদিন বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে মীরা বাউরি নামে এক প্রৌঢ়ার। জানা গিয়েছে, দুপুরে বাড়ির বাইরে গোরু চরাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা বজ্রপাতে সেখানে লুটিয়ে পড়েন। উদ্ধার করে ছাতনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই প্রৌঢ়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এছাড়া ছাতনার শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের পিঠাবাইদ গ্রামে এদিন বজ্রপাতে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি।
অন্যদিকে, এদিন শালতোড়া থানার ছাতিমবাইদ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে সুকুরমণি হাঁসদা নামে এক যুবতীর। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। জানা গিয়েছে, ধান লাগিয়ে দুপুরে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। পথেই বজ্রপাতে লুটিয়ে পড়েন সুকুরমণি। উদ্ধার করে শালতোড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। জখম ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।