সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে দেবানন্দপুর গ্রামে রয়েছে বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের জন্মভিটে। জন্মভিটের পাশাপাশি এই দেবানন্দপুরে শরৎ চন্দ্র স্মৃতি মন্দিরও রয়েছে। যার মধ্যে আছে সংগ্রহশালা, যেখানে দেবদাস রচয়িতার ব্যবহৃত সকল জিনিস থেকে শুরু করে দুষ্প্রাপ্য পান্ডুলিপি ও লেখকের শৈশব থেকে বার্ধক্যের বিভিন্ন পর্যায়ও মডেলের আকারে তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে শরৎচন্দ্র স্মৃতি পাঠাগার যেখানে শরৎচন্দ্রের সকল বই আছে।
১৮৭৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজকের দিনেই দেবানন্দপুরের এই জন্মভূমিতেই জন্মগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শরৎচন্দ্রের ছয় বছর বয়সে পিতা মতিলাল ডিহিরিতে চাকরি করা অর্থে ও মাতুল বংশের দান করা জমিতে এই দু কামরার পাকা বাড়ি ও বৈঠকখানা গৃহ নির্মাণ করেন। এরপর ১৮৯৩ সালে দেবানন্দপুর ত্যাগ করে পিতামাতার সঙ্গে স্থায়ীভাবে ভাগলপুরে চলে যাওয়ায় তিন বছরের মধ্যে ভবনটি নিলামে ২২৫ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শরৎচন্দ্র এই পৈতৃক বাড়ি উদ্ধার করতে পারেন নি, পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে রাজ্য সরকার ভবনটি অধিগ্রহণ করেন।