সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- সনাতন ধর্মে ওম আর স্বস্তিক চিহ্ন কে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ এই দুই চিহ্ন অত্যন্ত শুভফল দায়ী এবং অশুভফল বিনাশকারী বলে মনে করা হয়। গতকাল গণেশ চতুর্থী ছিলো, গণেশ চতুর্থীর দিন ঠাকুর গণেশের সামনে যদি এই স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয় তাহলে তা অত্যন্ত শুভ হয়। কিন্তু এই স্বস্তিক চিহ্নর আসল অর্থ কী জানেন?
আসলে গণেশকে বলা হয় তিনি বুদ্ধি দান করে থাকেন, আর বুদ্ধিকে প্রস্তুত করবার পবিত্র চিহ্নই হল স্বস্তিক। লক্ষ্য করে দেখবেন যে, স্বস্তিক চিহ্নের মধ্যে দুটি পৃথক রেখা আছে যেটা দুদিকে মুখ করা , এই দুটি রেখা আসলে গণেশের দুই স্ত্রী ঋদ্ধি ও সিদ্ধির প্রতীক স্বরূপ। ঋদ্ধি শব্দের অর্থ হলো বুদ্ধি অর্থাৎ শুভ আর সিদ্ধি শব্দের অর্থ হলো আধ্যাত্মিক শক্তির পূর্ণতা অর্থাৎ লাভ। তাই স্বস্তিক চিহ্ন যখন আঁকা হয়, তখন স্বস্তিকের ডান দিকে শুভ ও বাম দিকে লাভ লেখা হয়। আর এই কারণ এই গণেশ চতুর্থীর সময় যদি গণেশ ঠাকুরের সামনে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয় তাহলে তিনি অত্যন্ত প্রসন্ন হন। যদি গণেশ চতুর্থীর সময় গণেশ ঠাকুরের সামনে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে না থাকেন বা ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে মন খারাপ করার কিছু নেই সপ্তাহের যে কোন মঙ্গলবার বাড়িতে থাকা গনেশ ঠাকুরের সামনে নিরামিষ খেয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে পারেন,তাহলে ঘরের মধ্যে থাকা সকল বিঘ্ন বা নেগেটিভ শক্তি চলে যাবে।