মনোজ সিংহ, দুর্গাপুর: এডিডিএ’র বিধ্বংসী আগুনের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে রহস্যে জট কি এবার খুলতে চলেছে সোমবার দুপুরে? খোঁজ মিলবে বাইরে থেকে আগুন লাগাতে আসা দুষ্কৃতীদের? সংস্হার কর্মী, আধিকারিকদের পাশপাশি আশায় তামাম দুর্গাপুরবাসী।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ সংস্হার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারই এ ডি ডি এ’র ভস্মিভূত তেতলার পশ্চিম প্রান্তে সংস্থার চেয়ারম্যানের ঘর থেকে আচমকাই উদ্ধার হয়েছে একটি ডিভিআর বা ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার। যেটিতে চব্বিশ ঘন্টা সংস্হার দপ্তরের একতলার প্রধান ফটক, উপরে ওঠার সিঁড়ি, আর দপ্তরের করিডোরের ভিডিও সংগ্রহ করার জন্য বসানো তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ধরা আছে। ওই ফুটেজ চালিয়ে দেখে, বিশ্লেষণ করে, এডিডিএ এবার দেখে নিতে চায়,আদৌ বিশ্বকর্মা পুজোর গভীর রাতে কোনো বহিরাগত দপ্তরে ঢুকে ছিল, কিনা!
“সোমবার দুপুরে ওই ডিভিআর ব্রেক করে তার ভেতরে ধরে রাখা ফুটেজ উদ্ধার করা হবে। ওই ফুটেজের ওপর আমরা দারুন আশাবাদী,” বলে জানালেন এডিডিএ’র চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা জাস্ট একটা দুর্ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাত, তার কিছুটা হলেও আঁচ পাওয়া যাবে ফুটেজ দেখে। বাইরে থেকে এক্সপার্টদের ডাকা হয়েছে একাজের জন্য।”
এ ডি ডি এ দপ্তরে মোট ১৬ টি ক্যামেরা লাগানো হয় সর্বক্ষণের নজরদারির জন্য। তার মধ্যে, ১৩ টি ক্যামেরার ফুটেজ ধরার জন্য যে ডিভিআর টি ছিল দপ্তরের লিফটের করিডোরে সেটি সম্পূর্ণই ভস্মিভূত। তাই, এ ডি ডি এ এখন অক্ষত উদ্ধার হওয়া ডি ভি আর’টির ওপর দারুন আশাবাদী। কিন্তু, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এই ডিভিআর’টিরও সব ফুটেজ আদৌ অক্ষত আছে তো?
ইতিমধ্যেই ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত করে গেছে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল। তারা যদিও প্রাথমিক তদন্তে অন্তর্ধাতের কোনো ইঙ্গিত দেইনি। দমকল বিভাগের দাবি ছিল, আগুন অন্ততঃ দুঘন্টা জ্বলার পর তাদের ডাকা হয়েছিল। তাহলে? “সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকতে হবে,” বক্তব্য এ ডি ডি এ’র পদস্থ আধিকারিকদের।