সংবাদদাতা আসানসোল:- পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জের বাসিন্দা এক শিল্পপতির সাড়ে সাত বছরের নাতিকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার বোগড়াচটির ১৯ নং জাতীয় সড়কে। শিল্পপতির নাতিকে স্কুলে যাওয়ার সময় অপহরণের চেষ্টা করা হলেও স্থানীয় লোকজনেরা ঘটনাটি দেখে ফেলায় অপহরণকারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপরই অপহরণকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। খবর পেয়ে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) অরবিন্দ কুমার আনন্দ সহ পুলিশ আধিকারিকরা ছুটে আসেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, রানিগঞ্জের বাসিন্দা শিল্পপতি শিবকুমার সারদার নাতি আসানসোলের সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলের পড়ুয়া সাড়ে ৭ বছর রেহান অন্যদিনের মতো সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ রানিগঞ্জ স্কুল মোড়ের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে স্কুলে যাচ্ছিলো। তখন জামুরিয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির বোগড়াচটি মোড়ের কাছে ১৯ নং জাতীয় সড়কে একটি স্করপিও গাড়ি পেছন থেকে ধাওয়া করে, ঐ গাড়িটিকে আটকায়। বেশ কয়েকজন যুবক স্করপিও গাড়ি থেকে নেমে ব্যবসায়ীর গাড়ি ঘিরে ফেলে। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনেরা এগিয়ে আসেন। তাদের বাধা দিলে ঐ যুবকরা পালিয়ে যায়। আচমকা এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা হতবাক হয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
রানিগঞ্জের বাসিন্দা শিল্পপতি শিবকুমার সারদা বলেন, “নাতি রেহান অন্য দিনের মতো পরিবারের চারচাকা গাড়িতে করে আসানসোলো স্কুলে যাচ্ছিলো। এমন সময় এই ঘটনা ঘটে।” তার আরো দাবি, “নাতি যে গাড়িতে ছিলো সেই গাড়িটিকে আটকায় একটি স্করপিও গাড়ি। সেই গাড়িতে ৮/৯ জনের মতো যুবক ছিলো।” ঠিক কি কারণে তার নাতিকে অপহরণ করতে চেয়েছিলো,ওই যুবকেরা তা তিনি বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন পুলিশকে সব কিছু বলেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। রানিগঞ্জ মোড় থেকে অপহরণকারীরা শিল্পপতির গাড়ি ধাওয়া করছিল বলে অনেকে দাবি করলেও, প্রশ্ন উঠছে কেন এবং কি উদ্দেশ্যে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল?
এই ঘটনার পরে ঐ শিল্পপতির বাড়ির সদস্য থেকে তার আত্মীয় পরিজন ও রানিগঞ্জের ব্যবসায়ী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে সব থানার পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তল্লাশিও শুরু হয়। সব এলাকায় পুলিশের বিশেষ নজরদারি দল মোতায়েন করা হয়, ঐ স্করপিও গাড়ির খোঁজ করতে। আরো জানা গেছে, শিল্পপতির গাড়ির চালক নরেশ রায়কে আলাদা করে বেশ কয়েকবার জেরা করেছে। তবে ঠিক যে জায়গায় এই ঘটনা সেখানে সিসি ক্যামেরা নেই। দূরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। তদন্তে নেমে পুলিশ রানিগঞ্জ থেকে ঐ জায়গা পর্যন্ত সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। পুলিশের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঠিক কি ঘটনা, তা দেখা হচ্ছে। রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন স্থানে কারখানা রয়েছে এই শিল্পপতির।
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/add-01-sanaka-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/addnew-bidhan-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/add-04-avishkar-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/add-03-ojashotel-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/add-05-astor-1-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/add-06-govindo-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/02/add7-1024x576.gif)