সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- এবার ১০০ তম বর্ষ সমাপন করলো গঙ্গাজলঘাঁটির কাপিস্টা কাশিধামের মা অন্নপূর্ণা বাৎসরিক পুজো প্রতি বছর বসন্ত অষ্টমি তিথিতে এই পুজো হয়ে থাকে। কাপিস্টার মা অন্নপূর্ণা স্থান কেনই বা কাশিধাম নামে তপমা পেল কখনোই বা এখানে প্রতিষ্ঠা পেলেন দেবী । এ নিয়ে রয়েছে এক প্রাচীন কাহিনী। তা জানতে হলে আমাদের অনেকটাই পিছিয়ে যেতে হবে।
জানা যায় তখন বাংলা সালটা ছিল ১৩২৯ কাপিস্টা জনপদেরি বাসিন্দা গোবিন্দ চন্দ্র দুবে তিনি প্রতিদিনের মতো কার্য সেরে আসানসোল থেকে কাপিস্টা ফেরার পথে দুর্লভপুর ও গঙ্গাজলঘাটির মধ্যবর্তী জঙ্গলে এক বালিকাকে দেখতে পান এবং বালিকা টি তাকে তার বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি । পরপর দুইদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটার পর তৃতীয় দিনে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন। তার বাড়ি দোরে সেই বালিকাটি দাঁড়িয়ে রয়েছে । এবং সেই গোবিন্দ চন্দ্র কে স্মরণ করিয়ে দেয় তাকে জঙ্গলে ফেলে আসার কথা এর বালিকা টি মা অন্নপূর্ণা রূপে আবির্ভূত হয়ে রাত্রিবেলা গোবিন্দ চন্দ্র দুবে কে স্বপ্না দেশ দেন নিজ বাসভবনে মা অন্নপূর্ণা কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। বেশ তৎকালীন সময়ে কাপিস্টার দুবে পরিবারের এক তালপাতার কুড়ে ঘরেই প্রতিষ্ঠা পান মা অন্নপূর্ণা। সময় সরণি বেয়ে উত্থান পতনের হাত ধরে কুঁড়েঘর থেকে আজ মা এর মন্দিরে চুড়াও অনেক সু উজ্জ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সু উজ্জ হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মায়ের ভক্তদের প্রাকচিত্ত এত হল প্রতিষ্ঠার কথা। এবার আসা যাক কাশিধাম নামকরণের ব্যাপারে তৎকালীন দুবে পরিবারের পুজো দিতে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল কাশিধামে। কাশিধামে যেমন কাশি, বিশ্বনাথ বিরাজ করেন। তারী অনুকরণে এখানে মা অন্নপূর্ণার সাথে সাথে বাবা বিশ্বনাথের প্রতির লিঙ্গ স্থাপন করা হয়, তৎকালীন সময়ে। তার দুবে পরিবারের উত্তর পুরুষ শা ২০১৭ সালে এই মন্দির প্রাঙ্গণে নামকরণ করেন কাশীধাম। বর্তমানে এb মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অন্নপূর্ণা জ্যোতিষ কার্যালয়। তাদের পরিচালনাই অনুষ্ঠিত হওয়া মা অন্নপূর্ণার বাৎসরিক পুজো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্ত সমাগমে জমে ওঠা কাপিষ্টা কাশিধাম। বসন্ত অষ্টমী তিথিতে এই পুজো হলে ও চলে বেশ কিছু দিন ধরে, চলতে থাকে পুজোপাঠ, সাংস্কৃত অনুষ্ঠানও।