eaibanglai
Homeএই বাংলায়ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে আসানসোলের যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার

ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে আসানসোলের যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার

সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– আসানসোলের যুবককে অপহরণ করে খুন! ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে আসানসোলের যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। মৃত যুবকের নাম অর্জুন কুরেশী, বয়স ২৬ বছর। সে কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির বালতোড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ছিল। প্রসঙ্গত আট দিন ধরে নিখোঁজ ছিল ওই যুবক।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে অর্জুন কুরেশী গরু কেনার জন্য ঝাড়খণ্ডের মাইথনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেন। তার সঙ্গে ৫৫ হাজার টাকা ছিলো। রাতে ওই যুবক বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে বারবার ফোন করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। কিন্তু তার তিনদিন পর গত মঙ্গলবার অর্জুন নিজের ফোন থেকেই বাড়িতে ফোন করে জানায় তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। ওই দিনই পুরো বিষয়টি জানিয়ে বরাকর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন অর্জেনর বাবা। একই সঙ্গে পুলিশের কাছে অর্জুনের কথাবার্তা একটি কল রেকর্ডিংও দেন তিনি। এরপরও অর্জুনের কোনও হদিশ না মেলায় তদন্তে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে বরাকর ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অর্জুনের পরিবার পড়শি ও আত্মীয় পরিজনরা। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে গত বুধবার বরাকর ও ঝাড়খণ্ড থেকে দুজন করে মোট চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন। তাদের জেরা করে অর্জুনের খোঁজ পায় পুলিশ ও শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকার নতুন গ্রামের জঙ্গল থেকে অর্জুনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। অন্যদিকে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃত যুবকের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা ঝাড়খণ্ডে ছুটে যান দেহটি শনাক্ত করেন।

এদিন মৃত যুবকের বাবা মানিক কুরেশী বলেন, “ওরা আগেই হুমকি দিয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত ওরা ছেলেকে খুন করলো।” তার ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুলিশ একটু আগে থেকে তৎপর হলে এই ঘটনা ঘটতো না।

চিরকুন্ডা থানার পুলিশের অনুমান ওই যুবককে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু দত্ত জানান, ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments