সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– আজ ফলহারিণী অমাবস্যা। আবার আজই এই জৈষ্ঠ অমাবস্যা তিথিতেই হিন্দু বিবাহিতা মহিলারা বট সাবিত্রী ব্রত পালন ও পুজো করেন। স্বামীর মঙ্গল কামনার জন্য সারাদিন উপবাস করে এই ব্রত পালন করা হয়। এই ব্রত পালন করে সাবিত্রী ও সত্যবানের কাহিনীর মতো সিথির সিঁদুর অক্ষয় রাখার কামনা করেন বিবাহিত মহিলারা । সেই কামনাকে সামনে রেখেই ব্রত পাঠ হয়, চলে দিনভর পুজো ।
এদিন শ্রীবিষ্ণু, দেবী লক্ষ্মী ও বটবৃক্ষের পুজো করে থাকেন বিবাহতারা। এ দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো করে ব্রতের সংকল্প নেওয়া হয়। এরপর মহিলারা নতুন কাপড় পরে বটবৃক্ষ পরিক্রমা করেন। বটবৃক্ষের চারিদিকে হলুদ সুতো জড়িয়ে ২৪টি বট ফল এবং ২৪টি পুরিয়া আঁচলে নিয়ে বটবৃক্ষকে নিবেদন করেন। ধূপ ও প্রদীপ সহযোগে বট গাছের পুজো করা হয়। বট পুজো করে ব্রত কথা শুনতে বসেন মহিলারা ৷
পুরাণ অনুযায়ী, রাজা অশ্বপতির একমাত্র কন্যা ছিলেন সাবিত্রী। বনবাসী রাজা ধুম্রসেনের পুত্র সত্যবানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর ৷ এর পর মৃত্যু হয় সত্যবানের। কথিত আছে সাবিত্রী তাঁর স্বামী সত্যবানের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে একটি বটগাছের নীচে বসে তপস্যা করেন। আর এভাবেই তিনি স্বামীকে যমের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেই কারণে বিবাহিত নারীরা স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনার জন্য বট সাবিত্রী ব্রত পালন করেন।
এদিন সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের ফুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর , সিতারামপুর ডিসেরগড় বরাকর সহ একাধিক জায়গায় বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনায় জন্য বট সাবিত্রিরা পুজোয় সামিল হন। মহিলাদের এদিন বট গাছ পুজো করে স্বামীর মঙ্গল কামনা করতে দেখা যায়। এই পুজো উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকেই মন্দিরগুলিতে ভক্ত মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।