সংবাদদাতা, আসানসোলঃ– আসানসোলের নিয়ামতপুর, কুলটির বিভিন্ন এলাকায় ডিয়ার লটারির নামে রমরমিয়ে চলছে নকল ঝাড়খণ্ড লটারির কারবার। অভিযোগ এর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন দিনমজুর থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও পুলিশ প্রশাসন নীরব বলে দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে বাজারে ডিয়ার ছয় টাকা মূল্যের লটারি টিকিটের আড়ালে চলছে ঝাড়খণ্ড লটারির অবৈধ ব্যবসা। বেশি কমিশনের আসায় ফাঁদে পা দিচ্ছেন লটারি বিক্রেতারাও। বৈধ ডিয়ার লটারির প্রতি টিকিটের মূল্য যেখানে ছ’ টাকা সেখানে অবৈধ ঝাড়খণ্ড লটারির প্রতি টিকিটের মূল্য ১০টাকা। সূত্র মারফত জানা গেছে ঝাড়খণ্ডে ছেপে বাংলায় সরবরাহ করা হয় এই টিকিট। এই টিকিটের রং সাদা। কোন এলাকায় কোন সিরিজের টিকিট যাচ্ছে সেটা বোঝার জন্য টিকিটে উপর দিকে লেখা থাকে বিএস ১ -১০ পর্যন্ত নম্বর। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের টিকিট বাংলায় কারবার করলেও, সরকারকে কোনও বানিজ্য কর দেওয়া হয় না। স্থানীয়দের অভিযোগ , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে এলাকায় দিনের পর দিন এইভাবে অবৈধ টিকিটের ব্যবসা চলছে খুল্লাম খুল্লা। আর দ্বিগুন লাভের আশায় সাধারন মানুষ অবৈধ ঝাড়খণ্ড লটারির দিকে বেশি ঝুঁকছে। খুব কম সময়ে কোটিপতি হবার দিবাস্বপ্নে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেক ক্রেতাই।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কুলটি ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা সরাসরি এর জন্য প্রশাসন ও শাসকদলের নেতৃত্বের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে দিন কয়েক আগে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে এবং সমস্যা সমাধানে পুলিশ আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু এখনো এই ঝাড়খণ্ড লটারি টিকিটের কারবার বন্ধ হয়নি। এবং এই অবৈধ কারবারে শাসকদল ও পুলিশের মদত রয়েছে বলেই অভিযোগ বিজেপি নেতার। অন্যদিকে কুলটি ব্লক তৃর্ণমুল কংগ্রেস সভাপতি কাঞ্চন রায় এই অবৈধ ঝাড়খণ্ড লটারি প্রসঙ্গে বলেন, অবৈধ লটারির কারবারের বিষয়টি নিয়ে আমরা খবর নিচ্ছি এবংপুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।