eaibanglai
Homeএই বাংলায়পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ব্যক্তিই রাতের অন্ধাকারে চোর

পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ব্যক্তিই রাতের অন্ধাকারে চোর

সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারীর শিরীষবেড়িয়া অঞ্চলে এক ইসিএলের কর্মচারীর বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এক ব্য়ক্তির চুরির ঘটনার যুক্ত থাকার প্রমান মিললো।

সোমবার রাতে জেমারীর শিরীষবেড়িয়া অঞ্চলে এক ইসিএল কর্মীর বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে নগদ ৮০হাজার টাকা ও সোনার গয়না সহ বেশকিছু সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোর। যদিও চোরের ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়ে যায় সিসিটিভি ক্যামেরায়। আর চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে চোরকে চিনতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে চোরর নাম কূটরা। ওই ব্যক্তি আগেও বহুবার চুরির অভিযোগে ধরা পড়েছে। পুলিশের দাবি কিছুদিন ধরে কূটরাকে ভালো পথে আনার চেষ্টা করা হচ্ছিল। পুলিশ ফাঁড়িতে তাকে কাজও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে যে আসলে আদৌ শোধরায়নি, এই চুরির ঘটনা তা প্রমান করে দিল বলে মনে করেছেন থানার কর্তব্য়রত পুলিশ আধিকারিক।

অন্যদিকে বাড়ি মালিক ইসিএল কর্মী রামলাগান চৌহান জানান ছটপুজো থাকার দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে পাশেই নতুন বাড়িতে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। সাকেল উঠে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সাহায্য়ে দরজা খুলে বেরিয়ে পুরানো বাড়িতে গিয়ে দেখেন ওই বাড়ির সদর দরজা ভাঙা। বাড়ির ভিতরে সমস্ত জিনিস পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নগদ ৮০হাজার টাকা, স্ত্রীর কিছু সোনার গয়না, মেয়ের মোবাইল ফোন,হাতঘরি সব চুরি গেছে। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় ওই ইসিএল কর্মীর পাশেই একটি বিস্কুট কারখানাতেও রাতে চুরির চেষ্টা হয়েছে। সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যায় চোর আর কেউ না সেই কূটরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কূটরার আসল নাম সুমন দত্ত,জেমারী অঞ্চলেই তার বাড়ি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments