সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ও অপমানকর মন্তব্য করার জন্য তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানাল বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার আসানসোলে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি।
বৈঠকে কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি জানান কাশ্মীরের পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারত সরকার তার সেনাবাহিনীর দ্বারা যে পদক্ষেপ (অপারেশন সিঁদুর) গ্রহণ করেছিল তা শুধু আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বে তা সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। দেশবাসী সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁদের মনোবল বৃদ্ধি করতে। ভারতজুড়ে বিভিন্ন সংগঠন সেনাবাহিনীর সমর্থনে ত্রিরঙ্গা যাত্রা বার করেছে। অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ববান বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পুরো ঘটনাকে ভূয়ো ও সাজানো ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। ওই মন্তব্যে ভারতীয় সেনাবিহিনীকে একদিকে যেমন অপমান করা হয়েছে অন্যদিকে তেমনি দেশবাসীর দেশভক্তিতে আঘাত করা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছে। আগামী দিনে হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে অপমানকর মন্তব্য করার কারণে মামলা করা হবে।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক দুর্গাপুরের একটি কর্মীসম্মেলনে পহেলগাঁওকাণ্ড ও অপারেশন সিঁদুরকে সাজানো নাটক বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, “কীভাবে সিঁদুর খেলা শুরু করেছে বিজেপি সরকার ! দেখছেন তো ? গোটাটাই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। গোটাটাই নাটক। পাকিস্তানের সঙ্গে ফিটিং করে এই খেলা। চিত্রনাট্য। পুরো কাশ্মীর জুড়ে মিলিটারি থাকে। ইনসাস রাইফেল নিয়ে প্রহরায় থাকে। তাহলে পহেলগাঁওয়ে কেন সেদিন সেনাবাহিনী ছিল না ? আসলে এটা ছিল একটা চিত্রনাট্য।”এরপর তাঁকে বলতে শোনা যায় “মনে রাখবেন সিঁদুর বাঙালির রক্তে। সিঁদুর মায়েদের মাথায় থাকে। তাই এই সিঁদুর নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করছেন তাঁদেরকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিন। ”
যদিও তৃণমূল বিধায়ক সাফাইয়ে তাঁর বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করে বলেছিলেন, “দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি সেনাবাহিনীকে সবসময় সম্মান করি। সেনাবাহিনীর সাফল্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি সেটাই বলেছি। বিজেপিকে অভিযোগ করতে দিন।”





