সংবাদদাতা, জামুরিয়া, পশ্চিম বর্ধমান -: ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে ও সেটি ২০০ দিনে পরিণত করতে হবে, ধুঁকতে থাকা সমস্ত বৃহৎ কারখানা সম্প্রসারণ করতে হবে, রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ কারখানা চালু করতে হবে এবং বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এমনই চারটি প্রধান দাবিকে সামনে রেখে জেলায় জাঠা মিছিলে নামছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন ‘সিটু’। যদিও তাদের মূল দাবি শিল্প বাঁচাতে হবে নতুন নতুন শিল্প আনতে হবে। ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই জাঠা মিছিল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সিটুর ” শিল্প বাঁচাও, কাজ বাঁচাও, জেলা বাঁচাও এবং বাংলা বাঁচাও ” র এই কর্মসূচিতে রবিবার সকালে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেটি জামুড়িয়ার পুনিয়াটি থেকে শুরু হয়ে জামুড়িয়া বাজার, আখলপুর, নিমডাঙ্গা, শিবডাঙ্গা, নিংঘা কোলিয়ারি, রতিবাটিতে শেষ হয়। পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন, রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় , সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক প্রবীর মণ্ডল, বস্তি উন্নয়ন কমিটির জেলা সম্পাদক সঞ্জয় প্রামাণিক, সিপিএম নেতা তাপস কবি, মনোজ দত্ত, মহঃ কালিমুদ্দিন, সুমিত কবি, বিকাশ যাদব, বুদ্ধদেব রজক, ভারত পাসোয়ান, মহিলা নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, সুভাষ বাউরি, কুন্তল চ্যাটার্জি, শুভাশীষ বন্দোপাধ্যায়, মহঃ কায়ুম, মুন্না আহির। বিপুল সংখ্যক সিটু সমর্থক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
পদযাত্রায় অংশ নিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার মানুষ, যারা তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করে জীবিকা এবং সাধারণ জীবনের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তারা আজ ধর্মের নামে রাজনীতি করছেন। মন্দির- মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়ে মানুষকে জড়িয়ে দিয়ে তারা আসল বিষয়গুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে চান। তবে, বামপন্থীরা সর্বদা জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনগণের সুরক্ষা, নারী সুরক্ষা, উন্নয়ন, শিল্পায়ন, পরিবেশ সুরক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলিতে জোর দিয়ে আসছে এবং এই বিষয়গুলি উত্থাপন করে আসছে। এর জন্য বামপন্থী কর্মীরা অনেক কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে তারা এর জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে গোটা বাংলা জুড়ে আন্দোলন করা হচ্ছে।”
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করে বলেন, এটা জাঠা মিছিল নয় জ্যাঠামো করতে নামছে সিটু। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে একের পর এক কারখানা বন্ধ করে দিয়ে আজ বড় বড় কথা!


















