সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- রানিগঞ্জের নিমচা ফাঁড়ির আমকোলা গ্রামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল রবিবার। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। প্রতিবাদে মৃতার শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি নিমচা ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় মৃতার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনেরা।
মৃত বধূর নাম পাপিয়া গোপ (২২)। জানা গেছে গৌরান্ডির নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষণ গোপের মেয়ে পাপিয়া গোপের ২০২৩ সালে বিয়ে হয় রানিগঞ্জের আমকোলা গ্রামের পার্থ গোপের সঙ্গে। পার্থ গোপ পেশায় গাড়িচালক।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকদের দাবি, বিয়ের এক বছর পর থেকেই শাশুড়ির লোকেরা, বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য পাপিয়াকে চাপ দিতে শুরু করে। এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। প্রায় দিনই মারধর ও নির্যাতন করা হতো।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকদের দাবি, রবিবার সকালেও পাপিয়ার সঙ্গে তাঁদের স্বাভাবিক কথা হয়েছিল। কিন্তু তারপর সকাল ১০টা নাগাদ শাশুড়ির সঙ্গে তার ঝগড়া বাঁধে। দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরিবারের দাবি, এরপরই পরিকল্পিতভাবে পাপিয়াকে গলা টিপে খুন করা হয়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাদেরকে ফোন করে জানানো হয় যে, মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেই মতো, তারা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখেন পাপিয়ার নিথর দেহ।
অন্যদিকে, মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের দাবি, এদিন সকালে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। পাপিয়া রুটি তৈরি করার জন্য আটা মাখছিলেন। তখন তার সঙ্গে শাশুড়ির সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। তারপরই সে ঘরের মধ্যে গিয় অভিমান করে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিন থানায় মৃতার বাপের বাড়ির পরিজনেদের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।





