সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বিশ্বের বৃহত্তম রেল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম ভারতীয় রেল। ভারতের মতো বিশাল ভূখণ্ডের দেশকে উত্তর থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে জুড়েছে রেল পথ। তার উপর বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার এই দেশে রেলের উপরই নির্ভর করেন অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। রেলের এই বিপুল পরিকাঠামোকে ঠিক রেখে সুচারুরূপে পরিষেবা প্রদান করে চলেছে ভারতীয় রেল। যদিও তার মধ্যে দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। আর এরকম দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ড ঘটলে কী করনীয় তা নিয়ে শনিবার এক মক ড্রিলের আয়োজন করেছিল পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন।
এদিন আসানসোল ইয়ার্ডের স্যাটেলাইট সাইডিংয়ে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) (দ্বিতীয় ব্যাটালিয়ন, হরিণঘাটা) এর সদস্যরা একটি পূর্ণাঙ্গ মক ড্রিল বা মহড়ার অংশ নেয়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশ, দমকল, আরপিএফ এবং রেলের আধিকারিকরা। মহড়ার অংশ হিসেবে, একটি আইসিএফ কোচকে লাইনচ্যুত করা হয় এবং অন্যটি তার উপরে স্থাপন করা হয়। আর একটি কোচে আগুন লাগানো হয়। মহড়ায় দেখা যায় দুর্ঘটনার তীব্রতা মূল্যায়ন করার পর, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ বিভাগ রাজ্য প্রশাসন, দমকল বাহিনী, পুলিশ এবং এনডিআরএফ দল সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে। এবং উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম যৌথভাবে পরিচালিত করে। আসানসোল, চিত্তরঞ্জন মধুপুর, জসিডি স্টেশনে ‘নকল’ অনুসন্ধান কেন্দ্র খোলা হয়। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কী ভাবে প্রতি মুহূর্তে খবর সরবরাহ করা হবে তাও দেখানো হয়। এমনকি দুর্ঘটনা ত্রাণ ট্রেন (এআরটি), দুর্ঘটনা ত্রাণ মেডিকেল ভ্যান (এআরএমভি), রেলওয়ে ক্রেন কীভাবে কাজ করে তাও দেখান হয়।
এই মক ড্রিল শুরু হয় সকাল ১০ টা নাগাদ এবং দুপুর ১ টার পরে তা শেষ হয়। আর এই পুর মক ড্রিলটি আসানসোলের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং-য়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি জানান,এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল রেল এবং এনডিআরএফ উভয় দলের জরুরি প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি মূল্যায়ন করা।





