সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- পথ দুর্ঘটনায় এক বাইক চালকের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড আসানসোলের সালানপুরে। ক্ষতি পূরণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে চলল বিক্ষোভ । অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী রোড দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাইক করে যাচ্ছিলেন বছর পঞ্চাশের এলআইসি এজেন্ট অশোক মাহাতো। সেই সময় লোহার রড বোঝাই দ্রুতগামী একটি ট্রাক অশোকবাবুর মোটরবাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর জখম হন। তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত বাইক চালকের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই রাস্তায় নিয়মিতভাবে ট্রাক ও বড় গাড়ি বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে। যে কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন সবকিছু দেখেও কিছু করেনা। তারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্থানীয়দের সাহায্যে সালানপুর থানার আসানসোল চিত্তরঞ্জন রোডের দেন্দুয়া মোড়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন৷ রাত থেকে চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রাজ্য সড়ক সম্পূর্ণ অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। বুধবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। এর ফলে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েক কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন পড়ে যায় ওই রাস্তায়।
অবশেষে বুধবার দুপুরে সালানপুর থানার বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নামানো হয় র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। প্রথমে পুলিশ অফিসাররা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ । এর পর ঐ রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অবরোধকারীদের দাবি, পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যদিও লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা কোন কথা শুনতে চাওয়ায় লাঠি উঁচিয়ে তাদেরকে হটিয়ে দেওয়া হয়।





