সৌভিক সিকদার, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান -: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আক্রমণে নিরীহ ভারতীয়দের রক্তে বারবার রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন এলাকা। নাশকতা ছড়িয়ে শান্ত ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। গত ২২ শে এপ্রিল এরকমই এক অতর্কিত আক্রমণে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে গুলি করে মেরে ফেলে। ঘটনার ভয়াবহতা দেখে ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়ে।
প্রত্যাঘাত করে ভারতের বীর জওয়ানরা প্রথম আঘাতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটির পাশাপাশি পাকিস্তানে অবস্থিত একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিগুলিও ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেই আঘাত প্রতিহত করার মত ক্ষমতা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ছিলনা। উল্টে পাকিস্তানের প্রত্যাঘাত ভারতীয় সেনাবাহিনী চূড়ান্ত অবহেলায় প্রতিহত করে। দুর্ভাগ্যক্রমে কয়েকজন ভারতীয় বীর জওয়ান শহীদ হন।
দেশের সার্বভৌমত্ব, অখন্ডতা বজায় রাখা এবং শত্রু মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভূতপূর্ব ও অসমসাহসী ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদনের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আউশগ্রাম বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয়তাবাদী মিছিল বের হয়।
গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় একটি মিছিল গুসকরার দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। স্টেশন রোড হয়ে গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে মিছিল শেষ হয়। বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে বক্তব্য রাখেন শহর তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম ও গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী। দু’জনেই ভারতের জাতীয় ঐক্যের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
মিছিলে প্রত্যেক কাউন্সিলার, ওয়ার্ড সভাপতি সহ সাধারণ তৃণমূল কর্মী ও বহু সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের নেতৃত্বে অপর একটি জাতীয়তাবাদী মিছিল বের হয় বিল্বগ্রাম অঞ্চলে। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন পঞ্চায়েত প্রধান কিশোর রায় চৌধুরী, শান্তা প্রসাদ রায় চৌধুরী সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষ। মিছিলের পক্ষ থেকে বীর সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিধায়ক ভারতীয় জওয়ানদের কাহিনী তুলে ধরেন এবং দেশের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার জন্য সবার কাছে আবেদন করেন।





