eaibanglai
Homeএই বাংলায়বাঁকুড়ার প্রত্য়ন্ত গ্রামে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র, ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাচ্ছে কৃষকদের

বাঁকুড়ার প্রত্য়ন্ত গ্রামে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র, ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাচ্ছে কৃষকদের

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– কৃষি কাজের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার ভূমিকা অপরিসীম। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী কৃষকরা বীজ বপন, চাষবাস এবং ফসল কাটেন। বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলা যেখানে রুক্ষ লাল মাটিতে চাষাবাদ হয় সেখানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কেবল আলিপুর হাওয়া অফিসের উপর নির্ভর না করে বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত মিরগা গ্রামে একটি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র তৈরি করেছে ডিআরসিএসসি নামক একটি সংগঠন। তবে শুধু মিরগা গ্রামেই নয় ছাতনা ব্লকে তিনটি এবং পুরুলিয়া জেলার কাশিপুর ব্লকে ৫ টি আবহাওয়া কেন্দ্র তৈরি করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। একজন আধিকারিক স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে আগাম পাঁচ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য নথিভুক্ত করেন। তারপর সেই তথ্যগুলি, ডি আর সিএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীকে দিয়ে দেওয়া হয়। আগাম পাঁচ দিনের পূর্বাভাস লেখা থাকে গ্রামের কিছু বিশেষ দেওয়ালে। সঙ্গে দেওয়া থাকে আবহাওয়া অনুযায়ী চাষে ভালো ফলন পেতে ঠিক কি কি করতে হবে। এমনকি আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাসের নোটিফিকেশনে চলে যায় কৃষকদের মোবাইলে। গরীব চাষীদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে জীবনযাত্রার উন্নয়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

মিরগা গ্রামের কৃষকরা জানাচ্ছেন এই স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে আগাম পূর্বাভাস পেয়ে চাষে যথেষ্ট ভালো ফল পাচ্ছেন তারা। ৫ দিন আগে থেকেই জেনে যাচ্ছেন ঝড় বৃষ্টির খবর। ফলে কখন বীজ ফেলা, বপন এবং ফসল কাটার ভালো সময় সেই বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হচ্ছে তাদের।

প্রসঙ্গত লাল মাটির জেলা বাঁকুড়ায় প্রতিবছর জলকষ্ট দেখা যায়। পাশাপাশি আবহাওয়া জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষাবাদ। জেলায় প্রান্তিক কৃষকদের আবহাওয়ার সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয় বারবার। এই পরিস্থিতিতে জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা করছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments