নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়াঃ সপ্তদশ শতকে মল্লভূম রাজা বীরসিংহ (দ্বিতীয়) বিষ্ণুপুর শহরকে ঘিড়ে বিপুল পরিমান জলরাশিকে সাতটি বিশাল আকৃতির বাঁধে পরিণত করেছিলেন । বিষ্ণুপুর গড়কে যথার্থই জলদুর্গে পরিণত করা ঐতিহাসিক বাঁধগুলি সংস্কার হিন ভাবেই কাটিয়ে দিয়েছে প্রায় তিনশো ষাট বছর । ফলে ধীরে ধীরে সংস্কারের অভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছিল বাঁধগুলো । এবার বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন এগিয়ে এল লালবাঁধের পূর্ব প্রান্তে উঁচু বাঁধকে কেটে জল বের করে দেওয়ার কাজ শুরু হয় । মহাকুমা মানস মণ্ডল জানান , লালবাঁধের জল সবটা বের করা হবে না । মাত্র ১০ ফুট পরিমাণ জমি বের করে মাটি কাটা হবে । এছাড়াও তিনি বলেন লালবাঁধে নৌকা বিহারের জন্য স্নানার্থীদের জন্য ঘাট তৈরী করা হবে৷ লালবাঁধ এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ চলছে । এছাড়াও ভবিষ্যতে শ্রী রামকৃষ্ণ ও সারদা দেবীর মূর্তি বসানো হবে বলেও জানান তিনি । ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুরে একের পর এক নতুন মুকুট জুড়ছে । এমনিতেই দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে ভ্রমনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে । আর এই সংস্কারের ফলে আগামী দিলে পর্যটকের সমাগম আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিষ্ণুপুর প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।