নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়াঃ দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর এভাবেই জীবনের বাজি রেখেই নদী পারাবার করতে হয় সাধারন মানুষকে । তারপরেও কোনরকম হুঁশ নেই প্রশাসনের। এছবি বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর অঞ্চলের নিত্যানন্দপুরের দামোদর নদীর রণডিহা ড্যামের । বৃষ্টির জলে পুষ্ট এই দামোদর নদীতে সারাবছর সে ভাবে জল না থাকলেও ড্যামে সারাবছরই জল থাকে। আর তাই বাঁকুড়া জেলার সাধারন মানুষদের নদী পেরিয়ে অন্য জেলায় যেতে হলে ভড়সা একমাত্র নৌকা । এই রণডিহা ড্যাম বাঁকুড়া জেলা এবছর বর্ধমান জেলার সংযোগ স্থলে অবস্থিত । কাজের তাগিদে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে যেমন নদী পেরিয়ে বর্ধমান জেলায় যেতে হয় তেমনি বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষকে বাঁকুড়ায় আসতে হয় । বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত আর সেই সবজি নিয়ে চাষিদের নদী পেরিয়ে বর্ধমান জেলার পানাগর , দুর্গাপুর , বুদবুদ একাধিক জায়গায় নিয়ে যেতে হয় । যেহেতু নৌকাই একমাত্র ভরসা তাই জীবনকে হাতে রেখেই নৌকা পারাপার করতে হয় তাদের । প্রতিদিন এই নৌকাপথে আট থেকে দশ হাজার মানুষের যাতায়াত । প্রশ্ন উঠছে যেখান দিয়ে দিনে এত মানুষের যাওয়া আসা সেখানে প্রশাসনের নজরদারি কোথায় । কোনরকম লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই নৌকা পারাপার করছেন সাধারন মানুষ । নৌকা থেকে পড়ে গেলে ঘটতে পারে বড় রকমের বিপদ । এমনকি জলে ডুবে মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে । তবে কারও মৃত্যু হলে তার দায় কে নেবে উঠছে প্রশ্ন । এক সবজি বিক্রেতা বলেন , সপ্তাহে পাঁচদিন আমাকে সবজি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় তাও আবার ভোরের বেলায় । নৌকাডুবি হলে আমরা বিপদের সন্মুখীন হতে পারি কিন্তু উপায় নেই আমাদের যেতে হবে । নিরাপত্তার প্রশ্ন নিয়ে নৌকা মালিককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয় নিয়ে কোন রকম মন্তব্য করেন নি। তবে এবিষয়ে সোনামুখীর বিডিও রিজিওনাল আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন , বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে , আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি । উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসন কবে ব্যবস্থা নেবেন কয়েকটা প্রান চলে যাওয়ার পর তারপর ব্যবস্থা নেবেন । প্রশাসনের আশ্বাস পাওয়া গেলেও এখন দেখার বিষয় কবে থেকে নজরদারি চালায় প্রশাসন ।