সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– এবার আদালতে দাঁড়িয়ে সাংসদ স্বামীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। শুধু তাই নয় তাঁর স্বামী শিলিগুড়ির বিজেপি সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলেও এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করলেন সৌমিত্র জায়া। অন্যদিকে ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু বলতে চান না বলে অভিযোগ এড়িয়ে গেলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় হাজিরা দিতে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল দুজনেই এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এদিন বেগুনী আর সি-গ্রিণ রঙের শাড়ি, চোখে রোদ চশমা আর কপালে লাল টিপ পরে আইনজীবিকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে আসেন সৌমিত্র পত্নি সুজাতা মণ্ডল। আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি থাকতে থাকতে আমার স্বামী একজনকে নিয়ে ঘর সংসার শুরু করেছে।’ একই সঙ্গে ওই মহিলা শিলিগুড়ির বিজেপি সভাপতির স্ত্রী বলেও দাবি করেন সুজাতা ।
অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁকে এদিন খোশমেজাজেই দেখা যায় আদালত চত্বরে । তবে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি বলেন, জীবন থেমে থাকেনা, কে কি বললো তাতে কিছুই যায় আসেনা। মানুষের জন্য কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য। তবে তৃণমূলকে ‘জীবনের জঘন্যতম জায়গা’ মনে করেন এবং ওই দলে যে যাবে তাঁদের তিনি ‘পছন্দ করেননা’ বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁ এর আইনজীবি কোয়েল মুখার্জী এদিন বলেন, আগামী মঙ্গল-বুধবারের মধ্যে সৌমিত্র-সুজাতার ডিভোর্স মামলার নিস্পত্তি হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ২০২০ সালের ডিসেম্বর কলকাতায় কুণাল ঘোষ-সৌগত রায়দের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সৌমিত্র জায়া সুজাতা। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে স্ত্রী জন্য চোখের জল ফেলেছিলেন সৌমিত্র। সেদিন তাঁকে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গিয়েছিল “আমি কি খুব খারাপ? আমি কি পাপী?” যদিও ওই ঘটনার পর থেকে দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরই মধ্যে গত বছর জানুয়ারী মাসে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন সৌমিত্র। সেই সময় সুজাতা বিচ্ছেদ চান না বলে জানিয়েছিলেন। যদিও পরবর্ত্তীতে তিনিও ‘মিউচ্যুয়্যাল ডিভোর্সে’র পথেই হাঁটেন ।
