eaibanglai
Homeএই বাংলায়কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০টি হাতি ধরার অনুমতি পেয়েছে রাজ্য

কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০টি হাতি ধরার অনুমতি পেয়েছে রাজ্য

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– রাজ্যের জঙ্গল মহল এলাকাগুলিতে হাতির হানার ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই হাতির হানায় ধান, সবজি সহ বহু ফসল নষ্ট। এছাড়া হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। গত কয়েক মাসে শুধু বাঁকুড়া জেলাতেই বেশ কয়েকটি হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে মানুষজনকে। এমনকি হাতির হানা থেকে রক্ষা করতে এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের ব্যবস্থাও করেছে বন দপ্তর। এই পরিস্থিতি দলছুট খুনি হাতি চিহ্নিত করে সেগুলি ধরার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আপাতত ১০টি হাতি ধরার অনুমতি মিলেছে। রবিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল সৌমিত্র দাশগুপ্ত। এদিন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ডিএফও ও এডিএফও ও উচ্চ বনাধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানান মুখ্য বনপাল।

এদিন সৌমিত্রবাবু বলেন, লোনার হাতি মূলত আক্রমণ চালায়। দল থেকে ছিটকে যাওয়া হাতি মানুষের উপর আক্রমন চালাচ্ছে। একা হয়ে এরা মানুষকে আক্রমন করছে এবং মেরে ফেলছে। সেই হাতিগুলিকে ট্র‍্যাক করে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে বনদফতর। ইতিমধ্যেই ৩ টি হাতিকে ধরা হয়েছে। বাকি কোনও হাতি স্বভাব বিরুদ্ধ আচরণ করলে বা আক্রমণ চালালে তাকেও ধরা হবে। পরে তাদের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এভাবে হাতির আক্রমন ও হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়াও এদিন তিনি জানান, দক্ষিণবঙ্গে বর্তমানে মোট ১৬০-১৭০ টি হাতি রয়েছে। আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যে এই হাতি গুলিকে বাংলা থেকে ওড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডের দিকে সরানোর চেষ্টা করা হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments