সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- দেশজুড়ে যখন শ্রদ্ধা ওয়ালকরের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোরগোল চলছে তখন বাঁকুড়ায় নিখোঁজ এক কিশোরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের টুকরো উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। এক্ষেত্রেও প্রেম ঘটিত কারণেই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়েছে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দির সংলগ্ন মালিরবাঁধ এলাকার দ্বারকেশ্বর নদীর চর থেকে। কঙ্কালের টুকরোর সঙ্গে পড়ে থাকা চাদর দেখে কিশোরীকে চিহ্নিত করে তার পরিবার।
মৃত কিশোরীর নাম চাঁপা মাল। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ছাত্রী নিখোঁজ ছিল। নানান জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান মেলেনি। অবশেষে দ্বারকেশ্বর নদীর চরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা কাঙ্কালের টুকরে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ মাল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই কঙ্কালটি নিখোঁজ চাঁপা মালের বলে চিহ্নিত করে।
মৃতার পরিবারের দাবি স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তাদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের অনুমান ওই সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কঙ্কালের টুকরো সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে শ্রদ্ধা ওয়ালককে খুন করে তার প্রেমিক তথা লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এর পর শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে সেগুলি সংরক্ষণ করে রাখে সে। খুনের কয়েক দিন পর ১৮ দিন ধরে ছত্রপুর জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসে অভিযুক্ত আফতাব। পুলিশের কাছে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানানোর পরই এই মামলায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ ও চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে আসে।