সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– কোনো মৃন্ময়ী মূর্তি নয় বরং চিণ্ময়ী রূপের পুজো হয়ে আসছে দীর্ঘ প্রায় ১২৫ বছর ধরে। এখানে পূজিতা হন পরিবারের বড় বৌ। এই অন্য কালীপুজোর কাহিনী বাঁকুড়ার ইন্দাসের মীর্জাপুর গ্রামের। এখানকার সাঁতরা পরিবারে প্রতিবছর কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজোর দিন এখনও দেবীর সাজে সজ্জিতা বাড়ির বৌকেই নিষ্ঠা ভরে পূজা করা হয়। এদিন তাকে রক্ত জবার মালা, কপালে রক্ত চন্দনের তিলকে দেবী রূপে সাজিয়ে তোলা হয়। আর অন্যরকম এই কালী পুজোর সাক্ষ্মী থাকেন মীর্জাপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
কেমন লাগে দেবী রূপে পূজিতা হতে? কেমনই বা সেই অনুভূতি? বিগত ৩৮ বছর ধরে এই সাঁতরা পরিবারে মা কালী হিসেবে পূজিতা হয়ে আসছেন পরিবারের বড় বৌ হীরালালা সাঁতরা। তিনি বলেন, পুজোর সময় তাঁর বাহ্যজ্ঞান থাকেনা, ফলে সেই মুহুর্তের অনুভূতি বলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে পরিবারের সদস্য মহাদেব সাঁতরা জানান, ঠিক কি কারণে পুজোর এই ভিন্ন নিয়ম তা জানা নেই। এটুকুই শুনেছেন তাদের বাড়িতে কালী পূজোয় প্রতিমা তৈরী করা চলেনা, পরিবারের বড় বৌ কেই মা কালী হিসেবে পুজো করা হয়। বিগত সাত পুরুষ ধরে সেই প্রথা আজও অব্যাহত রয়েছে।