বাঁকুড়া: পরিত্যক্ত জলের কল থেকে অনবরত বেরিয়ে আসছে জল। আর তাকে কেন্দ্র করেই সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে কৌতুহল। ছবি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের সাত নং ওয়ার্ডের সাক্ষিগোপাল পাড়ার। জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে সাক্ষিগোপাল মন্দিরে আনুমানিক প্রায় ৪৫০ বছর ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কথিত আছে এই ঠাকুরের প্রান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীনিবাস আচার্য। এই মন্দিরের সামনেই রয়েছে একটি পাকা রাস্তা। কিন্তু রাস্তার পাশে একটি নর্দমা দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় নর্দমার নোংরা জল ও নোংড়া আবর্জনার স্তুপ নোংরা করছে মন্দিরের পরিবেশ। এই নোংরা আবর্জনা পেরিয়েই পূজো দিতে যেতে হয় সাক্ষিগোপাল মন্দিরে। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন মন্দির সংলগ্ন রাস্তার ধারে একটি কল থেকে অলৌকিক ভাবে অনবরত জল পড়ে চলেছে। আর তাকে কেন্দ্র করেই দানা বেঁধেছে রহস্য। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে প্রশাসনিক উদাসীনতায় এলাকা দূষিত হওয়ায় বাবা সাক্ষিগোপাল স্বয়ং কলের জল দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে দিচ্ছেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করতে থাকেন সেই অলৌকিক দৃশ্য দেখতে। যদিও বিশেষজ্ঞরা এই অলৌকিক তত্ত্বকে মানতে রাজি নন। তাদের বক্তব্য, কোনও ইউ আকৃতির শিলাস্তরে যদি পর পর প্রবেশ্য শিলাস্তরের পর অপ্রবেশ্য শিলাস্তর অবস্থান করে, তাহলে প্রবেশ্য শিলাস্তরে জল জমতে থাকে এবং সেখানে কূপ খনন করা হলে তখন জলের সমচ্চশীলতা ধর্মের জন্য অনবরত জল বেরিয়ে আসে। ভূগোলের ভাষায় একে আর্টেজিয়া কূপও বলা হয়।