সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:– ওঝাকে বিশ্বাস করেই ঘটল বিপত্তি। সাপে কাটা গৃহবধূ ঢলে পড়ল মৃত্যুর কোলে। মাতৃদুগ্ধ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কোলের শিশুও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার বালসি ২ নং পঞ্চায়েতের শালোইপাড়া এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বছর ২৯ এর শিখা বাগদি নামে এক গৃহবধূকে সাপে কামড়ায় । কিন্তু কিসে কামড়েছে তা বুঝতে পারেননি গৃহবধূ। বিষয়টি স্বামীকে জানানোয় তিনি বদ্রীনাথ বাগদী নামে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান স্ত্রীকে। মৃতের পরিবারের দাবি ওঝা জানান সাপে নয় কাঁকড়া বিছেতে কামড়েছে। এরপর ওই গৃহবধূকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং তাকে স্থানীয় পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্থাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই গৃবধূর ঘর থেকে বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার হয়। মৃতের স্বামী পরিবারের সদস্যদের দাবি ওই বিষধর গোখরোই কামড়েছিল শিখাদেবীকে। চিকিৎসকদের দাবি ওঝার কাছে না নিয়ে গিয়ে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাণে বেঁচে যেতেন ওই গৃহবধূ। অন্যদিকে মৃত গৃহবধূর বছর দুয়েকের শিশু সন্তান মায়ের দুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এই একবিংশ শতাব্দিতেও এত প্রচার প্রসার সত্ত্বেও আসলে গ্রামে গঞ্জের এক শ্রেণির মানুষেরা এখনও যে হাসপাতালে বদলে ওঝার উপরই নির্ভর করেন তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল এদিনের এই ঘটনা।










