সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত বাঁকুড়া জেলার একাধিক এলাকা। তার মধ্যে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক। তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোথাও জয়পণ্ডা নদীর জল ঢুকে আবার কোথাও জমা জলে ভেসে গেছে গ্রাম। বহু কাঁচা বাড়ি ধসে পড়েছে। কোথায় আবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। বিপদের আশঙ্কায় স্থানীয় স্কুলগুলিতে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু গ্রামবাসীকে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমার সঙ্গে-সঙ্গে গ্রামগুলি থেকে জল নেমেছে। কিন্তু বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনও ত্রাণ শিবিরেই থাকতে হচ্ছে বহু অসহায় মানুষকে। এদিকে ত্রান শিবিরগুলিতে খাবার সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। খাবারের দাবিতে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান দুর্গতরা।
স্থানীয় রাধানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার। তাদের কাছে খাবার পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে শনিবার রাধানগর গ্রামের কাছে তালডাংরা থেকে পাঁচমুড়া যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তাঁরা পথ অবরোধে সামিল হন। তাঁদের দাবি, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু শিবিরে খাবার না পৌঁছনোয় বারেবারে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জন প্রতিনিধিদের ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন পর্যন্ত ধরেননি। পরে পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ।
যদিও তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, পাঁচমুড়া হাইস্কুলের ত্রাণ শিবিরে রান্না করে সেই খাবারই এলাকার অধিকাংশ ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এদিন মন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিদের একটি দল পাঁচমুড়া ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে আসায় অন্যান্য ত্রাণ শিবিরগুলিতে রান্না করা খাবার পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত এদিন পাঁচমুড়া হাই স্কুল ত্রাণ শিবির পরিদর্শণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। জেলাশাসক সিয়াদ এন, পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারী, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনসূয়া রায়দের উপস্থিতিতে মন্ত্রী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয়কারীদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
মন্ত্রী এদিন জানান, এলাকার প্রায় ১ হাজার ৫ টি বাড়ি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের পাশেই রাজ্য সরকার আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে থাকা প্রত্যেককেই বাড়ি ফেরানো হবে।





