সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমানঃ– মাছ চুরিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত গ্রামবাসী। পুলিশর সামনেই চলে ভাঙচুর। ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। অবশেষে উত্তেজিত জনাতে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার কামারহাটি গ্রামে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। এদিন মাধবডিহির কামারহাটি গ্রামে মন্ত্রীর পৈতৃক বাড়ির পুকুর থেকে এক আদিবাসী যুবক মাছ চুরি করে বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে পুকুরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি ওই আদিবাসী যুবককে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর এই যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় হুগলির আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতেই মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। যদিও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
https://www.youtube.com/watch?v=1_x1lZaIRrs
মঙ্গলবার ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন বিকেলে হঠাৎ করে বিশাল সংখ্যক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালায়। মাধবডিহি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও ক্ষুব্ধ জনতাকে আটকাতে পারেনি। পুলিশের সামনেই বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মন্ত্রীর গোটা বাড়ি জুড়ে তাণ্ডব। ভেঙে ফেলা হয় বাড়ির সামনে লোহার গেট,বাড়ির ভিতরে জানলা- দরজার কাঁচ, চেয়ার- টেবিল আসবাবপত্র সহ আলো, গাছের টব। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তবে গতকাল ও আজকের ঘটনার সময় মন্ত্রী ও তার পরিবার ওই বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে দুর্গাপুরে রয়েছেন। এদিন ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছু জানেন না। তবে তিনি তাঁর পৈতৃক বাড়ির পুকুর গ্রামের উন্নতির জন্য এলাকার যুবকদের মাছ চাষের জন্য দিয়েছেন বলে জানান। অন্যদিকে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।