জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমানঃ- বিশ্বের বৃহত্তম যুব সংগঠন হলো নেহেরু যুব কেন্দ্র। ভারত সরকারের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের অধীনস্থ স্ব-শাসিত সংঠনটি জন্মলগ্ন থেকেই খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরীরচর্চা প্রভৃতির মাধ্যমে দেশের যুবক-যুবতীদের মধ্যে আত্ম-সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ সফলতার সঙ্গে করে চলেছে। কিছুদিন যাবৎ বর্ধমানের শাখাটি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে চলেছে।
১৫ ই ডিসেম্বর নেহেরু যুব কেন্দ্রের বর্ধমান শাখার উদ্যোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউসের সভাগৃহে তিন দিন ব্যাপী ‘যুব নেতৃত্ব এবং সামুদায়িক বিকাশ প্রশিক্ষণ শিবির’- এর শুভ সূচনা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শিবিরের শুভ সূচনা করেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত বন-আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী। তখন সেখানে উপস্হিত ছিলেন নেহেরু যুব কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব আধিকারিক উত্তরা বিশ্বাস, প্রফেসর শশী শর্মা, এপিএ সুজন ঠাকুর , প্রীতম মুখার্জী সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ।
জানা যাচ্ছে জেলা স্তরীয় এই আবাসিক শিবিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করছে। প্রশিক্ষণ শিবিরে মূলত যোগা, চরিত্র গঠন, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, শিশু ও নারী সুরক্ষা, পরিবেশ সচেতনতা, রোজগার সৃজন, নেহরু যুব কেন্দ্রর কার্যক্রম ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব india@2047’ ও অনন্য বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সমাজ গঠন ও নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে যুবক-যুবতীরা যাতে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। সন্ধ্যাবেলায় যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে সেখানে শিবিরে অংশগ্রহণকারী যুবক-যুবতীরা নিজ নিজ প্রতিভা উপস্থিত দর্শকদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে।
তিন দিন ব্যাপী এই আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করার জন্য অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে শিবিরে প্রশিক্ষণ নিতে আসা যুবক-যুবতীদেরও উৎসাহ দেন। তিনি বলেন – দেশ গড়ার প্রধান কারিগর হলো এই যুব সমাজ। তাদের ঠিকমত প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারলে দিনের শেষে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আমাদের দেশ। নেহেরু যুব কেন্দ্র সেই কাজটি সুচারুরূপে করে চলার জন্য তিনি আবার তাদের প্রশংসা করেন।
স্বাগত ভাষণ দিতে গিয়ে নেহেরু যুব কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব আধিকারিক উত্তরা বিশ্বাস এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্দেশ্য সবিস্তারে তুলে ধরেন। তিনি বলেন – বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের উদ্বুদ্ধ করা এবং নেতৃত্ব বিকাশ করা হলো এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মুখ্য উদ্দেশ্য।