সংবাদদাতা, বর্ধমান:- আবারো সেক্সটরশন শহর বর্ধমানে। পুলিশের দাবি, সেক্সটরশনের শিকার হয়েছেন আরও এক যুবক। ভিডিও কলের পর অশ্লীল ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে দেওয়ার কথা বলে যুবকের কাছ থেকে ৯৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। তারপরও তাঁর কাছ থেকে আরো টাকা দাবি করা হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই যুবক বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে প্রতারণার ধারায় একটি মামলাও রুজু করেছে থানা। যদিও ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু, এখনো কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। কয়েকদিন আগে বর্ধমান শহরের রাধানগর এলাকার এক যুবক একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, দু’টি ক্ষেত্রেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার কিনারায় সাইবার থানারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ইছলাবাদ এলাকায় প্রতারিত ওই যুবকের বাড়ি। কিছুদিন আগে একটি অজানা নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে ভিডিওকল আসতে থাকে। বেশ কয়েকবার কল আসায় তিনি সেটি রিসিভও করেন। ভিডিওকলে কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। পরেরদিন সকালে ফের তার কাছে বেশ কয়েকবার ফোন আসে। তাতে তাকে বলা হয় – ইউটিউবে তার অশ্লীল ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। তা মোছার জন্য তার কাছে মোটা টাকা দাবিও করা হয়। ফোন পেয়ে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে প্রতারকদের টাকা পাঠানোর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। এরপর তাকে দু’টি অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠানো হয়। দু’টি অ্যাকাউন্টে তিনি ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন। তারপরও তার কাছে টাকা দাবি করে ফোন আসে। এতেই তিনি প্রতারিত হওয়ার কথা বুঝতে পারেন।
প্রতারিত যুবকেরা জানান, গোড়ায় ভিডিও কলে বন্ধুত্বের ছলে কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে মহিলা কলার আচমকাই অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ চটুল কথা শুরু করে শরীরের উরদ্ধাংশের জামাকাপড় খুলতে শুরু করে। এরপরই শুরু হয় আপত্তিকর আবেদন আর এতে সায় না দিলেই ঐ চক্র যুবকদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।