জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,ভাতাড়ঃ- মুমূর্ষু রুগী সহ থ্যালেসামিয়া আক্রান্তদের জন্য দিন দিন রক্তের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। একে গ্রীষ্মকাল, তার উপর চাহিদার থেকে যোগান কম। রাজ্যের হাসপাতালগুলোর জন্য দরকার আরও রক্ত। বৈজ্ঞানিক কারণে একই জায়গা থেকে বারবার রক্ত সংগ্রহ করা কঠিন কাজ। অতএব রক্তদান শিবির ছড়িয়ে দিতে হবে বিভিন্ন এলাকায়। সেই লক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরে গুসকরা ‘আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ ও পূর্ব বর্ধমান জেলা ‘ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরাম’ গুসকরা ও তার আশেপাশের এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সংস্থা দুটির সহযোগিতায় ও মাহাতা সবুজ সংঘের উদ্যোগে ১১ ই জুন ভাতাড়ের মাহাতায় আয়োজিত হয় এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভ্রাম্যমান বাতানাকূল বাসের সহযোগিতায় শিবির থেকে মোট ৩২ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্ত দাতাদের মধ্যে দু’জন ছিল মহিলা। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শিশির কুমার ঘোষ, ‘আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-র সম্পাদক সজ্ঞীব বাছার, পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সদস্য সৌগত গুপ্ত সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। উদ্যোক্তাদের পক্ষে থেকে নাজিম শেখ, ইন্দ্রজিত সকল রক্তদাতাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে আরও বড় আকারে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার অঙ্গীকার করেন।
শিশির বাবু বললেন – আমাদের লক্ষ্য আরও বেশি সংখ্যক এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্লাব প্রতিষ্ঠান থেকে এব্যাপারে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই আমরা সেইসব জায়গায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে পারব। আমরা আশাবাদী কুসংস্কার ও ভয় কাটিয়ে আরও অনেকেই এগিয়ে আসবে। সবার মিলিত চেষ্টায় হাসপাতালগুলোতে রক্তের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। যেসব স্বেচ্ছাসেবক রক্তদাতাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।