নীহারিকা মুখার্জ্জীঃ-দুর্গাপুজোর পর বিজয়া দশমীর দিন গুরুজনদের প্রণাম ও ছোটদের আশীর্বাদের মাধ্যমে পালন করা হয় বিজয়া দশমী। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাবনার বদল ঘটেছে। বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কোনো এক জায়গায় একত্রে মিলিত হয়ে পালন করছে ‘বিজয়া সম্মেলনী’। সদস্যদের পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের সঙ্গে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফলে সেটা অন্য তাৎপর্য লাভ করছে। গত ২৪ শে নভেম্বর কবিতা, নৃত্য, সঙ্গীত সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিষ্ঠান ‘তাসের দেশ’-এর উদ্যোগে এবং সদস্যদের উপস্থিতিতে কলকাতার একটি ক্যাফেতে পালিত হয় ‘বিজয়া সম্মেলনী’।
সবার উপস্থিতিতে ক্যাফেতে গড়ে উঠেছিল খুব সুন্দর একটা আন্তরিক এবং নান্দনিক পরিবেশ। যোগ প্রশিক্ষককের যোগাসন প্রদর্শন, নৃত্য ও সংগীতানুষ্ঠান, কবিতা পাঠ ও চিত্রশিল্পীর ‘লাইভ’ চিত্রাঙ্কন- সব মিলিয়ে সম্মীলনী অনুষ্ঠানে প্রকৃত অর্থে শোনা গিয়েছিল পরবর্তী আগমনীর আহ্বান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যে ছিল স্বাভাবিক প্রাণের উচ্ছ্বাস। সব মিলিয়ে সংস্থার সদস্যরা একটা সুন্দর দুপুর উপভোগ করার সুযোগ পায়। এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সকলেই ‘তাসের দেশ’-এর কর্ণধার সুপ্রিয়া বিশ্বাসকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘তাসের দেশ’ -এর প্রধান উপদেষ্টা তথা কবি-সাহিত্যিক পিনাকী শংকর চৌধুরী, সভাপতি বিশ্বনাথ চৌধুরী, সম্পাদিকা সুপ্রিয়া বিশ্বাস সহ প্রলয় গোস্বামী, আম্রপালি দাশগুপ্ত, গোপা মল্লিক, আলপনা গোস্বামী এবং আরও অনেকেই।
সুপ্রিয়া দেবী বললেন – বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে আমরা মিলিত হওয়ার সুযোগ পেলেও সামগ্রিকভাবে মিলিত হওয়ার আনন্দ সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়না। আজ সেই সুযোগ পেলাম। উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামী দিন প্রত্যেকের যাতে ভালভাবে কাটে তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন।