সৌভিক সিকদার, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-: বিভিন্ন কর্পোরেট সেক্টরে বায়োমেট্রিক বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা প্রথা চালু থাকলেও অধিকাংশ সরকারি দপ্তরে ‘নৈব নৈব চ’। সেখানে গুসকরা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের ‘বেনিয়াপুকুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়’ কর্তৃপক্ষ চালু করল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা। জানা যাচ্ছে এরফলে মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরার পাশাপাশি দৈনন্দিন পঠন-পাঠন সংক্রান্ত তথ্য অভিভাবকরা জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৩ জন ছাত্রছাত্রী এবং ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর গোস্বামী সহ জয়ন্ত ঠাকুর, লাভলি মণ্ডল, প্রসেনজিৎ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ পাল, মহুয়া খাতুন- প্রত্যেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রেখা দলুই, বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী সহ বেশ কয়েকজন অভিভাবকের উপস্থিতিতে গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী ফিতে কেটে এই ডিজিটাল পদ্ধতির শুভ উদ্বোধন করেন। কীভাবে এই ডিজিটাল পদ্ধতি কাজ করে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর কার্ড পাঞ্চিংয়ের মাধ্যমে সেটি উপস্থিত অতিথিদের পরীক্ষামূলকভাবে দেখানো হয়।
সদ্য প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করার পর গত ২৭ শে ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র মঞ্চে আয়োজিত একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরার বিষয়টি চালু করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলিত করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী। তাকে সহযোগিতা করেন অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সুমি নন্দী এবং নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুহি লায়েক। অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের হাতে ডিজিটাল কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়ন্ত ঠাকুর এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থিত অতিথি ও অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরেন।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুশল বাবু বলেন, এরফলে পঠন-পাঠন ও ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা বিষয়ে অনেক স্বচ্ছতা আসবে।