eaibanglai
Homeএই বাংলায়ফনীর ঝাঁপটা থেকে রক্ষা পেলেও বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত বাঁকুড়া

ফনীর ঝাঁপটা থেকে রক্ষা পেলেও বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত বাঁকুড়া

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গে অতি শক্তিশালী ঘূর্নিঝড় ফনীর দাপট সেভাবে না পড়লেও ঘূর্নিঝড় ফনীর লেজের ঝাপটায় বিধ্বস্ত বাঁকুড়া জেলা। দমকা হাওয়া আর টানা বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার সোনামুখি ব্লকের রাধামোহনপুরের বেলুয়া, সমিতিমানা, গুড়ভাঙ্গা, উত্তরবেশিয়া সহ বিস্তীর্ন এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমির ফসল তছনছ হয়ে গেছে। মাটির নিচের ফসল আলু ছাড়াও শশা, ঝিঙে, পটল, করলা, কুমড়ো এবং ধানসহ নানা সব্জির ক্ষেত বর্তমানের জলের তলায়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে রাতভর প্রবল বৃষ্টির জেরে শনিবার সকালে সোনামুখীর বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা মাঠে গিয়ে দেখেন সমস্ত ফসল এক হাঁটু জলের নিচে, দমকা হাওয়ায় ধান গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে জলের তলায় চলে গেছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে বাঁকুড়া জেলার কৃষকদের। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন চাষিরা। এলাকার এক আলু চাষি প্রদীপ সরকার জানান, আলু মাঠ থেকে তোলার পর কিছু বেশি লাভের আশায় মাঠের আলু মাঠেই বস্তা ভর্তি করে সঞ্চিত করে রেখেছিলেন। কিন্তু ফনীর লেজের দাপটে সেই ৬০-৭০ হাজার টাকার আলু এখন জলের তলায়। ফলে এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মোকাবিলা কী করে করবেন সেই ভেবে কূল পাচ্ছেন না তিনি। একই অবস্থা অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও। এইমুহূর্তে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে চাষ হচ্ছে শশা, ঝিঙে, পটল, করোলা, কুমড়োর মতো নানান ফসল। কিন্তু একদিনের ঘূর্নিঝড় সেইসমস্ত ফসল নষ্ট করে দিয়ে গিয়েছে। ফলে দ্রুত বৃষ্টির জমা জল বের করে ফসল উদ্ধার করতে না পারলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবেন বলে জানাচ্ছেন এলাকার চাষিরা। আভাওয়া দফতরের বয়ান অনুযায়ী, ফনীর প্রভাবে এরাজ্যে আর কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা নেই, শেষমুহূর্তে ফনী পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের দিকে বেরিয়ে যাওয়ায় বড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাজ্যবাসী একথা যেমন ঠিক তেমনি ফনীর প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে যে হারে বৃষ্টি হয়েছে তার জেরে চাষের ক্ষেত্রে যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে তা বেশ স্পষ্ট। বর্তমানে ব্যাপক এই ক্ষতিরত হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারী সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন বাঁকুড়ার কৃষকরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments