নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ সরকারী জমিতে বেআইনিভাবে পাথর খাদান চালানোর অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে! অবাক লাগলেও এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরাই। ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার দেউলি গ্রামের। আর দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অবৈধ পাথর খাদান বন্ধের দাবিতেই এবার একজোট হওয়া গ্রামবাসীরা বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন গণ স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র। এলাকাবাসীদের বয়ান থেকে জানা গেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি থানার দেউলি গ্রাম সংলগ্ন একটি জঙ্গলের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ পাথর খাদানের রমরমা কারবার। সুত্রের খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া, মেজিয়া ও গঙ্গাজলঘাটি এই তিন ব্লকেই বছরের পর বছর ধরে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পাথর খাদান চলছে বলে অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এই ঘটনায় প্রশাসনের চরম গাফিলতির সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীদের একাংশ প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলেও সরাসরি অভিযোগও তোলা হয়েছে। দেউলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রামের অদূরেই বনদফতর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি জঙ্গলের ভেতরে কয়েক বছর চলছে একটি অবৈধ পাথর খাদান। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেআইনীভাবে এই পাথর খাদান চালানোর ফলে একদিকে যেমন জঙ্গলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি খেটে-খাওয়া গ্রামের মানুষরাও প্রকৃতি তথা জঙ্গল থেকে নিজেদের জীবিকার উৎস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্বও এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকায় পুলিশ প্রশাসনও সব জেনেশুনে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ এই পাথর খাদানে পাথর ভাঙার জন্য প্রায় সময় ব্লাস্টিং করা হয়। ফলে বিস্ফোরণের তীব্রতায় তাদের মাটির তৈরী বাড়িগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও এলাকাবাসীদের তোলা অবৈধ পাথর খাদান চালানোর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের পাল্টা অভিযোগ সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের উদ্যোগেই চলছে ওই অবৈধ খাদান। বিজেপি তরফে অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতেই ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণেই দিনের পর দিন চলছে এই অবৈধ পাথর খাদান। বনদপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।