সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– মঙ্গলবার ধনতেরাসের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়ে গেল দীপাবলি উৎসব। একদিন বাদেই বাঙালির কালী পুজো। আর দীপালি বা আলোর উৎসব ও কালী পুজো মানেই বাজি ফাটানো। কিন্তু বছর কয়েক আগেই জাতীয় পরিবেশ আদালত ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে শব্দ ও মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষণ সৃষ্টি করে, এমন বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর থেকেই পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি রুখতে উদ্যোগী হয় রাজ্য। জেলায় জেলায় প্রশাসনের সহযোগিতায় তৈরি করা হয় অস্থায়ী পরিবেশবান্ধব বাজি বাজার।
এবার দীপাবলি উৎসবের প্রাক্কালে বাঁকুড়াতেও বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে সাতটি স্টল নিয়ে শুরু হয়েছে সবুজ বাজি বাজার। ফলে শহরের অন্যত্র কেউ বাজি বিক্রি করলে তা বেআইনি বলে গণ্য করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
বাঁকুড়া বাজি বাজারে গিয়ে দেখা গেল বিভিন্ন ধরণের চরকি, তুবড়ি, তারাবাতি, মাল্টি কালারের আকাশ শর্ট, রকেট সহ অসংখ্য আতস বাজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে গত ২৪ তারিখ থেকে এই বাজি বাজার বসার কথা থাকলেও দানার জেরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে তার পিছিয়ে যায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে বেচা কেনা ভালো হবে বলেই আশা করছেন বিক্রেতারা। তবে অকাল বৃষ্টির জেরে মাঠে জল কাদা জমে যাওয়ায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে বলে জানাল ক্রেতা বিক্রেতা দুপক্ষই।
প্রসঙ্গত গত বেশ কয়েক বছরে নিষিদ্ধ বাজি রুখতে পুলিশি ধরপাকড়ে কিছুটা হলেও সচেতনতা বেড়েছে সাধারণের মধ্যে। তাই ক্রমে চাহিদা বাড়ছে গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজির। সবুজ বাজি তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ, এই বাজি পোড়ালে বাষ্প বেরিয়ে আসে। তাই খুব বেশি ছাই, ধুলো উৎপন্ন হয় না। এমনকি এই বাজি ফাটানোর সময়ে যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তার মাত্রা ১১০ থেকে ১২৫ ডেসিবেলের বেশি নয়। সুরক্ষার এই দিকটি বিবেচনা করেই বহু মানুষ এখন বেছে নিচ্ছেন সবুজ বাজি।