সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- বোলকুণ্ডার মিঠু রায়ের(৩২) খুনের ঘটনায় সালানপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে তারই ভিক্ষা দাদা লাল্টু চ্যাটার্জীকে(৪০)। পুলিশ সূত্রে খবর সম্পত্তির জেরেই ভিক্ষা দাদার হাতে বোনকে খুন হতে হয়েছে। খবর বৃহস্পতিবার সকালে মাধাইচক থেকে বোলকুন্ডা যাবার রাস্তার পাশেই মিঠু রায়ের অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে সালানপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় মানুষজন ধর্ষণের কথা বললেও মৃতদেহটি ময়না তদন্তের পরে জানা যায় মেয়েটি কোনভাবেই ধর্ষিত হয়নি। সেরকম কোনো অত্যাচারেরও চিহ্ন তার শরীরে পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধ করে যে তার হত্যা হয়েছে এ ব্যাপারে ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রমাণিত । মিঠু রায়ের বাবা দামোদর রায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই পুলিশ তদন্ত নেমে মিঠু রায়ের মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস বের করে এবং তা পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারে তার ভিক্ষা দাদা বোলকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা লাল্টু চ্যাটার্জীর সঙ্গে তার সব থেকে বেশি কথাবার্তা হয়। পুলিশ লাল্টুকে সন্দেহের জেরে হেফাজতে নেই। এবং পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জেরে লাল্টু স্বীকার করে দামোদরের সম্পত্তি নিয়ে তার সঙ্গে মিঠুর দীর্ঘদিন ধরেই একটা বচসা ও ঝামেলা লেগেছিল। দামোদরের সব সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ বহুদিন ধরেই লাল্টু রাখছিল।মিঠু যত বড় হচ্ছিল সেই হিসাব নিকাশ সেও চাইছিল এবং এ নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়।দামোদর আগেই ঘোষণা করেছিলেন তার সম্পত্তি সমান দুই ভাগে ভাগ হবে কিন্তু মিঠু বা লাল্টু কেউই তা চায়নি।তারা দুজনেই সম্পূর্ণ সম্পত্তির অধিকার একক ভাবে চাইছিল। এর পাশাপাশি মিঠু তার সমস্ত খরচ লাল্টুকেই দিতে বাধ্য করতো। মঙ্গলবার দিনে মিঠু রায় বাড়ি থেকে পিকনিকের নামে বেরোলেও সে প্রথমে যায় লাল্টুর পাহাড়গোড়ার বাড়িতে এবং সেখানে খরচ বাবদ টাকার দাবী করে। এই নিয়েই মিঠুর সঙ্গে তার প্রথমে ঝগড়া তারপর হাতাহাতি সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার মুহূর্তে রাগের বশে মিঠুর মুখ চেপে ধরে লাল্টু, তারই জেরে মৃত্যু হয় মিঠুর। তারপর মৃত দেহটি নিয়ে টেম্পোতে করে নিয়ে গিয়ে বোলকুন্ডার রাস্তার পাশেই জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায় লাল্টু।যা লাল্টু পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানা যায়। শনিবার ধৃত লাল্টু চ্যাটার্জীকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়।তদন্ত সাপেক্ষে ৬দিনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানানো হয়।