সংবাদাতা,আসানসোলঃ– পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরবর্তীতে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক জঙ্গি হামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সংগঠিত করেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় প্রত্যাঘাত করতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সঙ্গে এই যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বুধবার দেশজুড়ে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন আসানসোলের বার্নপুর চিত্তরঞ্জন এলাকার দেশবন্ধু বয়েজ ও দেশবন্ধু গার্লস ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে একটি করে কর্মশালার আয়োজন করে সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা। দেশবন্ধু বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৈদ্যনাথ ওরাং জানান, দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই মুহূর্তে কম ক্ষয়ক্ষতির জন্য সাধারণ জনগণের করণীয় বিষয়গুলি সম্বন্ধে একটা কর্মশালার আয়োজন করেছে সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা। শত্রুপক্ষের বিমান হানা হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সাইরেন বাজানো হবে। তাতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া করতে হবে, কীভাবে ব্ল্যাক আউট করতে হবে, কোথায় কীভাবে নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে ইত্যাদি নানা বিষয়গুলি পড়ুয়াদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত আজ বুধবার ৭ মে দেশজুরে ২৪৪টি জেলার ৩১ টি স্থানে মক ড্রিলের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আপৎকালীন বা যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। বিমান হামলা হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে তা শেখানো হবে সাধারণ মানুষকে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের নির্দেশ- বাংলা যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য (পাশাপাশি রয়েছে নেপাল ও ভূটান সীমান্তও) তাই এ রাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে নিজের মতো করে সংবেদনশীল এলাকা চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে মোট ৯৫টি সাইরেন রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সাইরেন রয়েছে ২৫-৩০ টি করে। জেলা সদরে রয়েছে একটি করে। রাজ্যের হাতে রয়েছে ৬২ টি স্যাটেলাইট ফোন। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল থেকে সাইরেনগুলি ব্যবহার করা হবে। মহড়া চলবে ৭ দিন।





