eaibanglai
Homeএই বাংলায়টানা ২৯ ঘন্টা মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ, চাকরির নিয়োগপত্র পেলেন মৃত খনি কর্মীর...

টানা ২৯ ঘন্টা মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ, চাকরির নিয়োগপত্র পেলেন মৃত খনি কর্মীর মেয়ে

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- প্রায় ২৯ ঘন্টা ধরে টানা আন্দোলন চলার পর অবশেষে মৃত খনী কর্মীর মেয়ের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল সেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা আসানসোলের কুলটির সেল বা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রামনগর কোলিয়ারির। মৃত খনি কর্মীর নাম কেদার পান (৪৮)। তিনি কলিয়ারিতে হলপ্যাক অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।

প্রসঙ্গত গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি কর্মরত অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন কেদার পান। দুর্ঘটনার পর তাঁকে কোলিয়ারির ডিসপেনসারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে বার্নপুরের সেল আইএসপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সেখান থেকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় দুমাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। যদিও সেখানে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার দুর্ঘটনার প্রায় তিন মাস পর চিকিৎসা চলাকালীন কলকাতার হাসাপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

এদিকে তাঁর মৃত্যুর পর সোমবার কেদার পানের দেহ এজেন্ট অফিসে রেখে কোলিয়ারির জিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবই কেদার পানের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কেদার পানের মেয়েকে চাকরি দিয়ে পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার দাবি জানিয়ে টানা দুদিন ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা। বিক্ষোভে সহায়তা দেন স্থানীয়রাও।

অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে মৃত খনি কর্মীর মেয়ের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন খনি কতৃপক্ষ। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, কোলিয়ারির এজেন্ট সহ অন্যান্যরা। এরপরই পরিবারের সদস্যরা কোলিয়ারির অফিস থেকে খনি কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments