নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ অবশেষে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে রেহাই পেতে চলেছেন শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরবাসী তথা রাজ্যের মানুষ। দেরীতে হলেও রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ডানা ছাটলো রাজ্য সরকার। এবার থেকে কোনও জায়গাতেই গাড়ি বা বাইক পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করা যাবে না সিভিক পুলিশদের। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করলো আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং। আসলে সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের দীঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। রাজ্য জুড়ে সিভিক পুলিশদের ওপর উঠতে থাকা পাহাড় প্রমাণ অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে সিভিক পুলিশদের ডানা ছাঁটার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফলস্বরূপ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে শিল্পাঞ্চলেও এবার থেকে সাধারণ মানুষের বাইক বা গাড়ি আটকে চেকিংয়ের কোনও রকম এক্তিয়ার রইল না সিভিক পুলিশদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে রেহাই পেল সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বেকার যুবকদের কথা ভেবে রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার সিভিক পুলিশ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই সিভিক পুলিশই হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার ও সাধারণ মানুষের মূল মাথাব্যাথার কারণ। যার অন্যতম কারণ হল, দিনের পর দিন বাড়তে থাকা সিভিক পুলিশদের দাপট, তোলাবাজি, জুলুম। প্রত্যেক দিন শহরের বিভিন্ন মোড়ে, রাস্তার পাশে যে হারে সিভিক পুলিশদের বাড়বাড়ন্ত বেড়েছিল তাতে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছিল তেমনি রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্ঘটনারও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিভিক পুলিশদের এই তোলাবাজি। নাম খাটিয়ে হেলমেট এবং গাড়ির কাগজ দেখানর নামে যেভাবে সাধারণ মানুষকে এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা পথচারীদের হেনস্থা করার নেশায় মেতে উঠেছিল তাতে বহুদিন ধরেই এদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং খুব সম্প্রতি দুর্গাপুরেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে নানান অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নাম জড়ানোর পর থেকেই এদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের একাংশ। আর এই সমস্ত কারনের জেরেই সম্প্রতি সিভিক পুলিশদের বেয়াদপি রুখতে পুলিশ কমিশনারেটকে কড়া দাওয়াই দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরেই আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারটের তরফে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের গতিবিধিতে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অবশেষে সিভিক পুলিশের দাদাগিরি, তোলাবাজি ও জুলুম থেকে রেহাই পেতে চলেছে শিল্পাঞ্চলবাসী
RELATED ARTICLES