সঙ্গীতা কর, বাগনান, হাওড়া-: বিদ্যাসাগর, দয়ার সাগর নামে সবার কাছে পরিচিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা বিদ্যাসাগর ছিলেন নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষা প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মত সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অবদান আজও মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। গত ২৯ শে জুলাই ছিল এই মহান ব্যক্তির ১৩৪ তম প্রয়াণ দিবস।
হাওড়ার বাগনানের টেঁপুর নবাসন অনন্তরাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মহান ব্যক্তির প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি চন্দ্রনাথ বসু, প্রধান শিক্ষক সূর্য্যশেখর দাস, সহ-শিক্ষক অশোক কুমার মন্ডল, পরিবেশ প্রেমী রবীন্দ্র নাথ দাস সহ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
সমাজসচেতন বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে চারাগাছ বিতরণ করা হয় ও তাদেরকে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক অশোক কুমার মন্ডল বলেন – বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো বৃক্ষরোপণ করা। এই মহান ব্যক্তিটির প্রয়াণ দিবসে তিনি সাধারণ মানুষকে বৃক্ষরোপণের জন্য আহ্বান জানান। তার মতে এটাই হবে বিদ্যাসাগরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় উপায়।
বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি চন্দ্রনাথ বসু বলেন – ছাত্রছাত্রীরা হলো জাতির ভবিষ্যত। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে তাদের নিয়ে পরিবেশ সচেতনতার কর্মশালা করতে হবে। তাদের হাত ধরেই পৃথিবীতে সবুজায়ন ঘটবে।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সূর্য্যশেখর দাস বিদ্যাসাগরের জীবনী ও কর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বিদ্যাসাগরের সংগ্রামমুখর জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন।