নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ– সোমবার মধ্যরাতে প্রায় ২টো নাগাদ আগুন লাগে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে এডিডিএ ভবনে। মাঝরাতে নিরাপত্তারক্ষীরা বিধ্বংসী আগুন দেখে দমকলে খবর দেন। সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এই বিধ্বংসী আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, অন্ডাল বিমানবন্দর, রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগ সহ অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রায় ১৫ টি দমকলের ইঞ্জিন এই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছে। মাঝরাতে এসে হাজির হন আসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তিনি আগুন নেভানোর কাজের তদারকি করেন। মধ্যরাতে চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সংস্থার প্রথম কাজ হচ্ছে আগুন যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণ করা, তারপরেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। কিভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করে দেখা হবে।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শিল্পাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া মাত্রই বহু মানুষ মধ্যরাত্রে থেকেই সিটি সেন্টারের এডিডিএ ভবনের সামনে ভিড় করেন। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক বাসিন্দা এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান দুর্গাপুরবাশীর সমস্ত জমি জমা সংক্রান্ত নথি এই অফিসেই রয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে তা কতটা সুরক্ষিত রয়েছে বা আদেও আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এর বাসিন্দা জনৈক্য পীযূষ মজুমদার ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, “আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ত্রিতল ভবনের একতলায় রয়েছে একটি ব্যাংক, দোতালায় রয়েছে সংস্থার কনফারেন্স হল, তিনতলায় রয়েছে সংস্থার মূল অফিস। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে নিচের একতলা ও দোতালায় আগুন না লেগে একেবারে তিনতলায় আগুন লেগেছে। এই ঘটনার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সোমবার মধ্যরাত্রি থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক , আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চিপ এক্সিকিউটিভ অফিসার সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ আমলা ও আধিকারিকরা।