নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ এই বাংলায়-র খবরের জের। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সংলগ্ন বাইগবাজারের এক্সিট গেটকে যাযাবর ভিক্ষুকদের দখল মুক্ত করল দুর্গাপুর পুলিশ। বুধবার আমাদের ওয়েব পোর্টাল এই বাংলায় এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল বিগবাজারের এক্সিট গেটের দখল নিয়েছে একদল যাযাবর ভিক্ষুক। তবে শুধু দখলদারী নয়, অভিযোগ উঠেছিল বিগবাজারে প্রত্যেক দিন আসা ক্রেতারা বিগবাজারে ঢুকতে বা বেরোতে গেলেই তাদের ওপর একপ্রকার হামলা করছে এই যাযাবর ভিক্ষুকরা। পাশাপাশি কোনও ক্রেতা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে গেলে তার ব্যাগ অথবা পা ধরে বাধা দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এই যাযাবর ভিক্ষুকদের হাত থেকে ক্রেতাদের উদ্ধার করতে বিগবাজার কর্তৃপক্ষ ময়দানে নামলেও ব্যর্থ হন তারা। অন্যদিকে যাযাবরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ দুর্গাপুরবাসীর অভিযোগ পেয়েই এই বাংলায় নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি সেখান থেকে ওই যাযাবর ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম্যের ছবি সংগ্রহ করেন। সেইমতো প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু শহরবাসী নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন। বুধবার এই প্রতিবেদন নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শহরবাসীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। বিগবাজারে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা সমস্ত যাযাবর ভিক্ষুকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। ফলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন শহরবাসী। কারণ এই যাযাবরদের দিনের ভিক্ষাবৃত্তি প্রধান পেশা হলেও সাধারণ মানুষের অসতর্কতার সুযোগে ছিনতাই, পকেটমারি করতেও এরা পিছুপা হয় না। এটাও একপ্রকার তাদের পেশার মধ্যেই পড়ে। কিন্তু এদের দলে মহিলা এবং শিশুর সংখ্যা বেশি থাকায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে বরং উল্টে হয়রানি হয় সাধারণ মানুষেরই। এর আগেও এইসমস্ত ভিক্ষুকদের কাছে প্রতারিত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই এই বাংলায় এই খবর প্রকাশিত হতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করে দুর্গাপুর পুলিশ। আর পুলিশ প্রশাসনের এহেন কর্তব্যপরায়নতায় একপ্রকার মুগ্ধ দুর্গাপুর। কারণ বিভিন্ন সময়ে ঘটনা, দুর্ঘটনা, অভাব, অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দিকে আঙুল ওঠে সর্বপ্রথম। আর সম্প্রতি লোকসভা ভোটের পর দুর্গাপুরের পুলিশকে নিয়ে কম কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়নি। ক্ষ্মতাশালী এক নেতার মুখ থেকে দুর্গাপুর পুলিশ প্রশাসন “চামচাবাজ” উপাধিও পেয়েছিল। কিন্তু এই বাংলায় ওয়েব পোর্টালে আগেও পরিবেশিত হয়েছে যে দুর্গাপুর পুলিশ সবসময় দুর্গাপুরের রুচিশীল, শান্তিপ্রিয় শহরবাসীর প্রতি সবসময় কর্তব্যপরায়ন থেকেছে এবং বুধবারের ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। কারণ শহরের রাস্তায় গত কয়েক মাসে একাধিকবার ঘটে গেছে নানান অপরাধমূলক ঘটনা, যা আতঙ্কিত করেছে দুর্গাপুরের মানুষজনকে। তাই বর্তমান সময় দুর্গাপুর পুলিশের কাছে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ এবং সেই সঙ্গে বিরোধীদের ভুল প্রমাণ করার। বিগবাজারের এক্সিট গেটে যাযাবর ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম্যের খবর জানা মাত্রই যেরকম তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং পুলিশের এহেন দায়িত্ববোধে দুর্গাপুরবাসী কোনওরকম কার্পণ্য না করেই দুর্গাপুর পুলিশকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।