নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ দুর্গাপুর জুড়ে বেআইনি নির্মান ভেঙে দেওয়ার ঘটনা নতুন কোনও ঘটনা নয়। প্রায়ই দুর্গাপুর নগর নিগম তথা এডিডিএ নিয়ন্ত্রণাধীন এবং ডিএসপি নিয়ন্ত্রণাধীন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী এলাকায় বেআইনি নির্মান ভাঙার খবর সামনে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে এবার ডিএসপির নজরে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নির্মিত একাধিক বিশ্রামাগারগুলি। ইতিমধ্যেই ইস্পাত নগরীর প্রায় সমস্ত বিশ্রামাগারগুলিতে এই মর্মে নোটিশও লাগিয়েছে ডিএসপি। ডিএসপির বক্তব্য, এই সমস্ত বিশ্রামাগারগুলি বেআইনিভাবে বিনা অনুমতিতে জমি দখল করে বানানো হয়েছে। তাই আগামী ৪ই আগস্ট থেকে সেই বেআইনি নির্মাণগুলি ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে নোটিশ জারি করা হয়। স্বভাবতই সাধারণ মানুষ তথা বয়স্কদের অবসরকালীন সময় কাটানোর জন্য নির্মিত বিশ্রামাগারগুলি ভেঙে দেওয়ার নোটিশ জারি হতেই ইস্পাত নগরী জুড়ে চাপান-উতোর শুরু হয়ে গেছে। কারণ স্থানীয় এলাকাবাসীদের বক্তব্য, অবৈধ নির্মান ভাঙার নামে বয়স্ক মানুষরা যেমন তাদের অবসর সময় কাটানোর জায়গা হারাবেন তেমনি সারাদিন বিভিন্ন পথচারীরাও হারাবেন তাদের সাময়িক জিরিয়ে নেওয়ার জায়গা। তাদের অভিযোগ, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ বিশ্রামাগারগুলিকে অবৈধ নির্মান বলে চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার জন্য ব্যস্ত অথচ সমগ্র ইস্পাত নগরী জুড়ে বর্তমানে দিনের পর দিন যেভাবে ঝুপড়ি এবং বেআইনি ঘর-বাড়ি নির্মান বেড়েই চলেছে সেদিকে নজর নেই তাদের। এখানেই থেমে না থেকে ইস্পাত নগরীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু বেআইনি নির্মানই নয়, ডিএসপির বসানো বিদ্যুতের পোষ্ট থেকে বিভিন্ন ঝুপড়ি ও অবৈধভাবে নির্মিত ঘরে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ চুরি, পানীয় জলের পাইপ লাইন ফুটো করে বাড়িতে বাড়িতে এবং হোটেলে জল সরবরাহ করা হলেও সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ডিএসপির। অথচ সেই জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারদের তরফে সাধারণ মানুষ ও বয়স্ক মানুষদের কথা ভেবে রাস্তার পাশে গড়ে তোলা বিশ্রামাগার ভাঙতে ব্যস্ত ডিএসপি। এককথায় ডিএসপির এধরনের পদক্ষেপে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এবিষয়ে ডিএসপি বা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।