eaibanglai
Homeএই বাংলায়সাইবার পুলিশের নাম নিয়েই কোটি টাকা লুঠ চালায় দুর্গাপুরের পুলিশ

সাইবার পুলিশের নাম নিয়েই কোটি টাকা লুঠ চালায় দুর্গাপুরের পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর:- জাতীয় সড়কে কোটি টাকা লুঠের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দুজন পুলিস অফিসার ও এক বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। যদিও, দিনভর তল্লাশী চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে লুঠ হওয়া টাকার কানাকড়িও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে, বলে জানা গেছে। তিন পুলিশকর্মী ছাড়া,বাকি তিনজন একটি বেসরকারি ব্রোকার এজেন্সির সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানায়।

হেফাজতে নেওয়া পুলিসের এক অফিসার অসীম চক্রবর্তী শহরের দুর্গাপুর থানায় পোস্টেড ছিলেন। অপরজন চন্দন চৌধুরী ছিলেন সিআইডির বম্ব স্কোয়াডে। আরেক ধৃত মৃত্যুঞ্জয় নস্কর কিছুকাল আগেই দুর্নীতির দায়ে রাজ্য পুলিস থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা বলেন, “ঐ ব্যক্তিই দিল্লির থেকে যে এত পরিমাণ টাকা এসেছে কলকাতায় একটি সংস্থায় পৌঁছনোর জন্য সেই খবরটি পান অন্য একটি এজেন্সি মারফত।” জানা গেছে, ঐ এজেন্সির অন্যতম অংশীদার এই বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মী।

দেড় কোটি নয়, এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ জানায় লুঠের পরিমাণ ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা। জাতীয় সড়কের এই রাহাজানিতে পুলিশ জড়িত থাকায় এবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ভীষণই অস্বস্তিতে পড়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। কারণ, কলকাতার আর জি কর হাসপতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা গোড়ায় ধামচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর রাজ্য জুড়েই ছি ছি পড়ে যায় পুলিশকে নিয়ে। এরই মাঝে রাজপথে ডাকাতি করছে পুলিশ – এমন ঘটনা সামনে আসায় এদিন মুখ লুকিয়েছেন দুর্গাপুরের থানাগুলির বহু অফিসারই।

লজ্জাজনক এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তি কাটাতেই, শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথেই তদন্তের গতি বাড়ায় পুলিস।তল্লাশি চলে এসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও সিআইডির কর্মীর বাড়িসহ হরেক ডেরায়। সাসপেন্ড থাকা পুলিশ কর্মীকে। এদিন সকালেই ডেকে পাঠিয়ে মূল অভিযুক্ত অসীম চক্রবর্তীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ কমিশনারেট। ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক গুপ্তা আরো বলেন, ‘আরোও একটু সময় লাগবে ঐ ঘটনার পুরো জাল গুটিয়ে আনতে।”

জানা গেছে, দিল্লির বাসিন্দা এক রেলওয়ে ঠিকাদারের এক মুন্সি সরকারি সংস্হার বরাতের প্রয়োজনে ১.০১ কোটি টাকা নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোল থেকে কলকাতা যাওয়ার সময় দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় সংলগ্ন পেয়ালা কালীবাড়ি এলাকায় লুঠেরাদের পাল্লায় পড়েন। গাড়ি থামিয়ে পুরো টাকাটাই নিয়ে তারা ফেরার হয়ে যায়। ঐ পুলিশকর্মীরা নিজেদের আসানসোলের সাইবার পুলিশ বিভাগের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে এই লুঠ চালায়। পুলিশের দাবি, বেসরকারী ব্রোকার এজেন্সির লোকেরা এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তো আছেই, এই চক্রের সাথে আরো কিছু দুষ্কৃতীর যোগ রয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments