সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– প্রাপ্তবয়স্ক ৩ ভাইবোনের দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। শনিবার সকালে দুর্গাপুরের লাউদোহার লস্করবাধের আদিবাদী পাড়ার একটি বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতরা হলেন মঙ্গল সোরেন (৩৩), সুমি সোরেন (৩৫) এবং শুকমণি সোরেন (২৮)।
জানা গেছে, মঙ্গল সোরেন লাউদোহা-ফরিদপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার বাবা হপনা সোরেন প্রাক্তন ইসিএল কর্মী,মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। মঙ্গলের দিদি সুমি সোরেন কলকাতার এক হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অন্য বোন শুকমণি বাড়িতেই থাকতেন। মৃতদের পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই মঙ্গলের বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। দাদার বিয়ের জন্যই সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়ি এসেছিলেন সুমি।
মৃতদের বাবা হপনা সোরেন জানান এদিন ভোরে প্রাতকৃত্য সেরে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন ছেলে মেয়েরা যে ঘরে রাতে শুয়েছিল সেই ঘরের জানলা দিয়ে ধোঁয়া বেরচ্ছে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের খবর দেন। তারাই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন তিন ভাই বোনের অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে। ঘরের আসবাব পত্রও পুড়ে গিয়েছে।
কিন্তু কীভাবে ওই ঘরে আগুন লাগলো তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। স্থানীয়দের একাংশের অনুমান তিনভাইবোন আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে সোরেন পরিবারে কখনও কোনও অশান্তি হতে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তার উপর সামনেই মঙ্গল সোরেনের বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। এই পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার বিষয়টি অনেকেই মানতে রাজি নন।
অন্যদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন সকালেই তিন জনের দেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় লাউদোহা-ফরিদপুর থানার পুলিশ। সেখানেই তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখে এবং মৃতদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যের জিজ্ঞাসাবাদের পরই মৃত্যু রহস্যের জট খুলবে বলে আশা পুলিশের।