নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- বাড়িতে থাকা একাকী বৃদ্ধাকে আচমকা আক্রমণ করে, মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে পালাতে গিয়ে দোতলা বাড়ি থেকে সটান মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হল পরিচারিকা। রবিবার সকাল সকাল সিটিসেন্টারের অভিজাত নন কোম্পানী পাড়ার ঘটনা। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে গৃহকর্ত্রী এবং পরিচারিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠায়। তবে, ঘটনায় এলাকায় বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়ালেও, রবিবার রাত্রি পর্যন্ত এই আক্রমণের আসল উদ্দেশ্য কি তার কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
সিটিসেন্টারের আলাউদ্দিন খান রোড়ের দোতলা বাড়িতে একাকী থাকেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। বছর ৭০-র অপর্ণা দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের নার্স ছিলেন। অবসরের পর কিছুগিন নার্সিং কলেজে পড়ানোর কাজও করেছেন। তার একমাত্র কন্যা কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বইতে। তার বাড়ির গৃহ পরিচারিকা অপর্ণা দাসের বাড়ি দপর্গাপুরেরই বীরভানপুরে। রবিবার সকাল থেকেই প্রতিবেশীরা শোনেন দুই অপর্ণার মধ্যে উচ্চগ্রামে বাদানুবাদ চলছে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ননকোম্পানী হাউসিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি পিষূষ মজুমদারের কাছ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পৌঁছে পুলিশে দেখে- বাড়িটির তিনতলার ঠাকুরঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন গৃহকর্ত্রী আর বাড়ির পাঁচিলের গা ঘেঁষে অচেতন হয়ে পড়ে ঘরের পরিচারিকা। গৃহকর্ত্রীর মাথা ডান্ডা দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের সময় অস্ফূষ্টে তিনি বলেন, “কাজের মেয়েটা আমাকে মেরেছে।” কাজের মেয়ে অপর্ণা বলে, “উনি আজ আমাকে মেরে ফেলে দিয়েছেন।” পিযূষ বলেন, “গোটা ঘটনাটি রহস্যময়। পুলিশের ভালো করে তদন্ত করা উচিৎ।” ননকোম্পানীর ১০৫০টি বাড়ির মধ্যে প্রায় ২০০ঘরে থাকেন হয় একাকী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা। এর নেপথ্যে ভিন রাজ্যের বাড়ি মাফিয়াদের হাত থাকতে পারে বলে কারো কারো অনুমান।