eaibanglai
Homeএই বাংলায়বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি খোলার দাবিতে আন্দোলনে সিটু

বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি খোলার দাবিতে আন্দোলনে সিটু

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- ফের শিল্পশহরে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত মাইনিং অ্যান্ড অ্যালাইড মেশিনারি কর্পোরেশন (এমএএমসি) খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামল বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু। অন্যদিকে সিটুর এই আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এম এ এম সি খোলার দাবিতে কারখানার সামনেই আন্দোলন শুরু করলো বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু। দ্রুত কারখানা খুলে শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করা ও বেহাল টাউনশিপের হাল ফেরানোর দাবি তুলেছে বাম শ্রমকি সংগঠন। সিটুর জেলা নেতা বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী এদিন জানান, শিল্পশহরের একের পর এক কারখানা বন্ধের পর থেকেই তারা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিকবার চিঠিও করেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকি এমএমসি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চক্রান্ত করে আসানসোল দুর্গাপুরে উন্নয়ন পর্ষদে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবিও তোলেন তিনি।

অন্যদিকে সিটুর এই আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ করে পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এদিন বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে সুরসুরি দেওয়ার জন্যই আন্দোলন করতে দেখা যায় সিপিআইএমকে। কোন শ্রমিক সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে সেটা ভালো। তবে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলি খোলার দাবিতে অনেকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনও লাগাতার আন্দোলন করছে শ্রমিকদের স্বার্থে।কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে নাটক করছে সিপিআইএম।”

উল্লেখ্য, ২০০২ সাল থেকে একে একে শিল্পশহরের একাধিক কারখানা বন্ধ হতে থাকে। ২০০২ সাল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় রাষ্ট্রায়ত্তর এমএএম সি কারখানা। সেই সময় সংস্থায় শ্রমিক সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার। এর পাশাপাশি ২০০৭ সালে বন্ধ হয় অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেড (বিওজিএল) ৷ বন্ধের সময় কারখানায় শ্রমিক সংখ্যা ছিল ১৮২ জন। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এইচএফসিআই) বন্ধ হয় ২০০৩ সালে। সেই সময় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় শ্রমিক সংখ্যা ছিল ১২৫০ জন। অন্যদিকে কারখানাগুলি বন্ধ হওয়ার পর টাউনশিপগুলিরও অবস্থাও বেহাল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি জঙ্গলে মুখ ঢাকে কারখানা ও সংলগ্ন এলাকাগুলি। আর এই বন্ধ কারখানা খোলার ইস্যুকে সামনে রেখে প্রতিবাগ ভোটের আগেই সোচ্চার হয় রাজনৈতিক দলগুলি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments