বিশেষ প্রতিনিধি, দুর্গাপুর:- প্রায় সওয়া কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ! শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল দুর্গাপুরের মোটর দুর্ঘটনা জনিত বিচারের ট্রাইবুনাল কোর্ট। সড়ক দুর্ঘটনায় এতো বিপুল পরিমাণ টাকার ক্ষতিপূরণ এই প্রথম দুর্গাপুরে। ফলে, এই দিন আদালত চত্বরে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায়।
রাষ্ট্রায়ত্ব কয়লাখনি সংস্থা ই.সি.এলের ডোজের অপারেটর সুলতান আনসারী ও তার স্ত্রী রাজিয়া আনসারী দুর্গাপুরের জাতীয় সড়ক ধরে মোটরবাইকে ফিরছিলেন হরিপুর কোলিয়ারি আবাসনে। তারা দুর্গাপুরের মিশন হসপিটালে এক রোগী দেখতে এসেছিলেন ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর। আদালত সূত্রে জানা যায় বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফরিদপুরের কাছে তাদের বাইকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। দুর্ঘটনার তীব্রতায় বাইক থেকে ছিটকে পড়েন ওই দম্পতি। তারপর ওই লরিটির চাকায় তারা পিষ্ট হন। পুলিশ জানায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। জাতীয় সড়কের ওপর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়ে থাকা দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয় এবং পুলিশ ঘাতক লরিটি ও আটক করে। লরি চালকের বিরুদ্ধে বেপরোওয়া গাড়ি চালানো এবং কর্তব্যে গাফিলতির দরুন মৃত্যু (২৭৯ ও ৩০৪ এ) ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় মামলা রুজু করে।
ওই দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর সাপেক্ষে মৃত দম্পতির পরিবার ক্ষতিপূরণের দাবি করে মোকদ্দমা করে। মৃতের পুত্র মনজর আনসারী ও ইমরান আনসারী বলেন, “পাঁচ বছর পর আজ রায় দিল মোটর অ্যাকসিডেন্ট ট্রাইবুনাল আদালত।” তাদের আইনজীবী আইয়ুব আনসারী এদিন বলেন, “কোনো মৃত্যুই কখনো আর্থিক মূল্য দিয়ে মেটানো যায়না। তা ভুক্তভোগী পরিবার মাত্রই জানেন”। তিনি বলেন, “শুক্রবার আদালত ওই দম্পতির মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮০ টাকা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পরিবারকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বীমা সংস্থা ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্স কে।”