eaibanglai
Homeএই বাংলায়ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুরে, ভোজালি নিয়ে ভাগ্নির উপর হামলা মামীর

ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুরে, ভোজালি নিয়ে ভাগ্নির উপর হামলা মামীর

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বাড়ির দখল নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুরের শ্রীনগর পল্লীতে। ভোজালি নিয়ে ভাগ্নির উপর হামলার অভিযোগ উঠল মামী ও তাঁর ছেলে মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ভাগ্নি সহ জখম তৃণমূল মহিলা সমিতির কেয়েক জন সদস্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হল দুর্গাপুর থানার পুলিশকেও।

জানা গেছে দুর্গাপুরের ২০নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগর পল্লীতে দীপ্তি সরকার ও তাঁর স্বামী সুনীল সরকারের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন অজয় মল্লিক। স্থানীয় সূত্রে খবর আগে কর্মসূত্রে দিদির বাড়িতে একা থাকলেও একমাত্র ভাগ্নি হেনা শেঠের ১৯৯৬সালে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে স্ত্রী পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন অজয়। এরমধ্যে গত ২০১৮ সালে সুনীল সরকার ও ২০২১সালে দীপ্তি সরকার মারা যান। অভিযোগ এরপর থেকেই ওই বাড়ির দখল নেয় অজয় ও তাঁর স্ত্রী। এমনকি একমাত্র ভাগ্নিকেও ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ।

এরই মধ্যে নিজের বাড়ির দখল নিতে গতকাল সন্ধ্যায় শ্রীনগর পল্লীতে হেনা পৌঁছলে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে হেনাও ছাড়ার পাত্রী নন। তিনি রাতভর বাড়ির বাইরে ধর্না দেন ও সকালে স্থানীয় তৃণমূলের মহিলা সমিতির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে ঢুকলে তাদের উপর ভোজালি নিয়ে মামী ও তাঁর দুই ছেলে মেয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ।

যদিও ভোজালি নিয়ে নিয়ে হামলার কথা অস্বীকার করেন মামী ও তার মেয়ে মণীষা। তাঁদের পাল্টা দাবি হেনাদেবী ছুরি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়েছেন ও তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছেন। এর পাশাপাশি হেনাদেবীর মামী দাবি করেন ওই বাড়ি এখন তাঁর নামে। তাঁর ননদ দীপ্তি সরকার ওই বাড়ি তাঁর ভাই অজয়ের নামে দান পত্র করে দিয়ে গেছেন। পরে তাঁর স্বামী ওই বাড়ি তাঁর নামে করে দেন। তা সত্ত্বেও ভাগ্নি হেনা শেঠকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি হেনা এবং সে তাঁর মামা-মানীকে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া করতে চাইছে।

অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। কিন্তু সেখানে অভিযুক্ত অজয় মল্লিকের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা দুপক্ষেরই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। পরে যদিও পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments