নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ফের খবরের শিরোনামে দুর্গাপুর সরকারী মহাবিদ্যালয়। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং বিজেপি ছাত্র পরিষদ এবিভিপির কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুর সরকারী মহাবিদ্যালয়। জানা গেছে, সোমবার কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল। সেইমতো পড়ুয়ারাও তাদের পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগেই কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং পড়ুয়াদের অভিযোগ বিজেপি ছাত্র পরিষদ এবিভিপির কয়েকজন যুবক ওই কলেজেরই পড়ুয়া পুলিশের উপস্থিতিতে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকে। তাদের বক্তব্য ছিল, কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা কলেজে এসেছিল। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, বিজেপি ছাত্র পরিষদের ওই সদস্যরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেই কলেজের দুজন ছাত্রীকে কটূক্তি করে। প্রতিবাদ করায় ওই দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কলেজ পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ তুলে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কলেজের প্রধান গেটের সামনে জমায়েত হয়। উল্টোদিকে সেই সময় পুলিশের সামনেই এবিভপির সদস্যরাও জমায়েত হয়। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার ছিল। উল্টে পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে তাদের ওপরেই লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ পুলিশের লাঠিচার্জে ৬ জন পড়ুয়া আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল -দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পুর্ব) আরিশ বিলালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং কলেজের পড়ুয়াদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান টিএমসির কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জ্জী, এলাকার কাউন্সিলার দেবব্রত সাঁই। তিনি সমগ্র ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানান, যেভাবে শান্তিপ্রিয় পড়ুয়াদের ওপর অন্যায়ভাবে বিজেপি ছাত্র পরিষদের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে তা নিন্দনীয়। সোমবার এই ঘটনার জেরে কলেজের পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কলেজে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দুর্গাপুর সরকারী মহাবিদ্যালয়ে শাসক-বিরোধী ছাত্রপরিষদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ পুলিশের
RELATED ARTICLES